প্রচার চলাকালীন হাঁটুতে সমস্যা দেখা দেওয়ায়, মাঝপথেই প্রচার থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সময়টায় তিনি প্রকাশ্যে বিশেষ মুখ খোলেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তেমন বিরাট কোনও বার্তাও এই সময়টায় দিতে দেখা যায়নি তৃণমূল সুপ্রিমোকে। কিন্তু, ভোট মিটতেই রাজ্যের গ্রামবাংলা যখন সবুজ আবিরে ভরেছে, সেই সময় বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের চালিকাশক্তি। যে বার্তায় বুঝিয়ে দিলেন, দলের নেতা ও কর্মীদের সামনে স্বশরীরে না-থাকলেও তিনিই তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যাপ্টেন বা কাপ্তান।
Advertisment
মঙ্গলবার তাঁর বার্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, 'মা-মাটি-মানুষকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। গ্রামবাংলায় পুনরায় বিকশিত জোড়াফুল। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপনাদের অভূতপূর্ব সমর্থন, অকুণ্ঠ ভালোবাসা এবং অপার আশীর্বাদে আমি তথা আমার গোটা তৃণমূল কংগ্রেস পরিবার কৃতজ্ঞ। এই জয় আমার প্রণম্য গণদেবতার জয়। এই নির্বাচন আবারও প্রমাণ করল, বাংলার মানুষের হৃদয়ে তৃণমূল কংগ্রেসই আসীন।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোট পেয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পর থেকে তাঁর অনুপস্থিতিতে দলের দায়িত্বভার প্রায় গোটাটাই কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন সেনাপতি তথা উত্তরসূরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের প্রচারে তার আগেই একের পর এক জেলায় নিজের কর্মসূচি নিয়ে ঘুরেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে থেকে উপস্থিতি দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে একটা বড় ভরসা।
তাই বড় পরীক্ষা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সামনে। লোকসভার আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনই এরাজ্যের ভোট রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। সসম্মানে তাতে উতরে গিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। নির্বাচনের দিন কন্ট্রোলরুম খুলে বসেছিলেন। তার সাহায্যে জেলার নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে গিয়েছেন। বার্তা পেয়েছেন, নির্দেশ দিয়েছেন। তবে, পায়ের চোট থাকলেও রাজনীতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্ষণের অংশ। সেই কারণে চুপ করে বসে ছিলেন না তৃণমূল সুপ্রিমোও। কালীঘাট থেকেই যাবতীয় পরিস্থিতির ওপর নজরদারির ব্যবস্থা রেখেছিলেন।