ডিপিএসসি নিউটাউনের চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়ার বিরাট কৃতিত্ব। Google ডুডল প্রতিযোগিতায় শীর্ষ স্থান অর্জন করে তাক লাগিয়েছে কলকাতার শ্লোক মুখোপাধ্যায়। ভারতের প্রায় ১০০ টির বেশি শহরের লক্ষাধিক পড়ুয়া এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। আর সেই প্রতিযোগিতাতেই সেরার সেরা মুকুট ছিনিয়ে নিল বাংলার শ্লোক।
Advertisment
তার এই সাফল্যে গর্বিত পরিবার থেকে স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল। ডিপিএসসি নিউটাউনের প্রিন্সিপ্যাল সোনালি সেন শ্লোকের এই সাফল্যের প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়ার এই সাফল্যে আমরা সকলেই খুশি”। ভালবাসার মধ্যে গিটার বাজানোই নেশা ছোট শ্লোকের। বড় হয়ে বিজ্ঞানী হতে চায় এই খুদে এই পড়ুয়া।
সাতসকালেই বাড়িতে এই খবর এসে পৌঁছাতেই রীতিমত খুশির হাওয়া। এরপরই তড়িঘড়ি মোবাইল খুলেই চোখে পড়ে তারই আঁকা ছবি। যা দেখে আনন্দে লাফিয়ে ওঠে শ্লোক। এর পর প্রতিদিনের মত বাড়ি থেকে স্কুল। সেখানে পৌঁছাতেই শুভেচ্ছার বন্যা। শ্লোকের ছবিই ব্যবহার করা হয় শিশুদিবসে গুগলের বিশেষ ডুডল আর্টে।
২৫ বছর পর যোগাভ্যাস, সবুজায়ান, আয়ুর্বেদ চর্চার পাশাপাশি বিজ্ঞানীরা যদি পরিবেশ বান্ধব রোবট ব্যবহার করতে পারেন তাহলে গোটা বিশ্ব তাকিয়ে দেখবে তার দেশকে। আর তার সেই ভাবনাকেই ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলা ছোট শ্লোক। বিরাট এই সাফল্যের পর শ্লোক জানায়, "গোটা বিশ্বের কাছে দেশের বিরাট কৃতিত্বকে ফুটিয়ে তোলায় আমার ভাবনা ছিল সেই মতই আমি ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলি আমার ভাবনাকে”। এদিনই শ্লোকের হাতে ঢাক ঢোল বাজিয়ে তুলে দেওয়া হয়েছে শংসাপত্রও।
শিশু দিবসে এই প্রতিযোগিতার ফলাফল জানানো হয়। ঘোষণা করা হয় শ্লোকের তৈরি ডুডল সেরার সেরা। প্রতিযোগিতায় জয় লাভের পর গুগলের পক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার স্কলারশিপ দেওয়া হয় শ্লোককে। গুগল ডুডলের পেজের তরফে লেখা হয়েছে ‘ছাত্র-ছাত্রীদের কল্পনাশক্তি এবং সৃজনশীলতায় আমরা মুগ্ধ। অনেকের ডুডলেই প্রযুক্তিবিদ্যার উন্নতি এবং অগ্রগতির ছবি ধরা পড়েছে, যা আমাদের বিশেষভাবে অবাক করেছে’।