ফের নরেন্দ্রপুরে গুলি। শনিবার ভর সন্ধেয় নরেন্দ্রপুরের সুকান্ত পার্কে গুলি চলে। এক ফাস্ট ফুডের দোকানে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে জনৈক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গুলি চালানোর পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন। খবর দেওয়া হয় নরেন্দ্রপুর থানায়। পুলিশ এলে বাসিন্দারা অভিযুক্তকে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি গুলির খোল উদ্ধার করেছে। কী কারণে ওই ব্যক্তি গুলি চালাল, কোথা থেকে সে আগ্নেয়াস্ত্র পেল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ওই ফাস্ট ফুড দোকানের মালিককেও পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। অভিযুক্ত কেন তার দোকানে এসেছিল, কী ঘটেছিল, তা জানতে চাওয়া হয় ওই দোকানের মালিকের কাছ থেকে।
ওই দোকানের মালিকের স্ত্রী ইন্দ্রাণী মণ্ডল সংবাদমাধ্যমকে জানান, অন্যদিনের মত শনিবারও তাঁরা দাসপাড়ার ওই দোকান খুলে বসেছিলেন। দোকানে ক্রেতারা যাতায়াত করছিলেন। সেই সময় ওই ব্যক্তিও দোকানে আসে। দোকানে বসে সে টেবিলের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র রাখে। কেন সে টেবিলের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র রাখছে, জানতে চান দোকানের মালিক ইন্দ্রাণী মণ্ডলের স্বামী। সেই সময় ওই ব্যক্তি পরপর দুটি চালায় বলে ইন্দ্রাণী মণ্ডলের অভিযোগ। গুলি দুটি কারও গায়ে লাগেনি। কিন্তু, গুলির শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শব্দ পেয়ে আশপাশ থেকে এবং স্থানীয় পার্টি অফিস থেকে লোকজন ওই দোকানের সামনে চলে আসেন। তাঁরাই অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন। এরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয় বলেই ইন্দ্রাণী মণ্ডল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ইলিয়ট রোডে গুদামে আগুন, দমকলকর্মীদের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
এর আগে গত ১৪ আগস্ট নরেন্দ্রপুরে গুলিতে খুন হন শাহিদ মণ্ডল নামে এক ব্যবসায়ী। নরেন্দ্রপুর থানা থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে কুমড়োখালি মোড়ের কাছে ঘটনাটি ঘটেছিল। হেলমেটে মুখ ঢাকা তিন দুষ্কৃতী বাইকে চেপে এসে ওই ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করেছিল বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় কুলতলির মেরিগঞ্জের বাসিন্দা অভিজিৎ নস্কর নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতারও করেছে বারুইপুর জেলা পুলিশ।