এখনও ভোটের দিন ঘোষণা হয়নি। তার মধ্যেই ভোটের টিকিট নিয়ে বিবাদের জেরে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় খুন হয়ে গেলেন এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার ভরদুপুরে চোপড়ার দিঘাপানায় ঘটনাটি ঘটেছে। সেই সময় সেখানে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বুথকমিটির বৈঠক চলছিল। নির্বাচনী টিকিট বিলি নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বৈঠক।
বিবাদের জের বচসায় গড়ায়। যা দ্রুত হাতাহাতির চেহারা নেয়। আর, তারপরই গুলি চলে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। ঘটনায় আরও তিন জন আহত হয়েছেন। এই গুলিচালনা আর খুনের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। নিহতের পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত তৃণমূল কর্মীর নাম ফইজুর রহমান। তাঁর বয়স ৭০ বছর। ঘটনার সময় বুথ কমিটির বৈঠক শেষ হয়ে গিয়েছিল। বৈঠক শেষে তৃণমূল কর্মীরা বুথ অফিস থেকে বেরিয়ে আসছিলেন। ফইজুর রহমানও বেরিয়ে এসেছিলেন। তখনই আচমকা গুলি চালানো হয়। গুলি তাঁর বুকে গিয়ে বেঁধে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ফইজুর রহমানের। অভিযোগের তির তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠীর দিকে।
বাকি আহতদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তিকে চোপড়া দলুয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিহত বৃদ্ধের দেহ পাঠানো হয়। সেখানে দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, আহত তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাসু মহম্ম নামে একজনের অবস্থা রীতিমতো আশঙ্কাজনক। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁকে ডাকবাংলো মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- রাম নবমীর মিছিল ঘিরে হিংসা হাওড়ায়, দফায় দফায় গোষ্ঠীসংঘর্ষ, এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী
ঘটনার জেরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কারণ, এখনও পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। তার মধ্যেই এমন কাণ্ড। অতীতে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে বারবার কার্যত রণক্ষেত্রের সাক্ষী থেকেছে বাংলা। বোমাবাজি থেকে অগ্নিসংযোগ বা খুনোখুনি কিছুই বাদ থাকেনি পঞ্চায়েত নির্বাচনে। কিন্তু, সেসব ঘটেছে নির্বাচনের সময় অথবা দিন ঘোষণার পর। কিন্তু, এবার দিন ঘোষণার আগেই যেভাবে খুনোখুনি শুরু হয়ে গেল, তাতে নির্বাচনের সময় ঠিক কী হবে, তা ভেবেই উদ্বিগ্ন সাধারণ নাগরিকরা।