সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী প্রয়াত। আজ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্য়ু হয়েছে। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ তাঁর মৃত্য়ু হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
গত কয়েকদিন ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর শ্রমিক নেতার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, ''ওঁর বার্ধক্য়জনিত নানা সমস্য়া ছিল। সেই সঙ্গে করোনা আক্রান্ত ছিলেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন। যেহেতু কোভিড পজিটিভ ছিলেন, তাই প্রোটোকল মেনেই শেষকৃত্য় করা হবে''।
শ্য়ামল চক্রবর্তীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে খোঁজ নিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। একথা গতকালই ফেসবুকে জানিয়েছিলেন তাঁর মেয়ে তথা অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তী। শ্য়ামল চক্রবর্তীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। শোকবার্তায় মমতা লিখেছেন, ''রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী সিপিআই (এম) নেতা শ্যামল চক্রবর্তীর মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। শ্যামলবাবু সিটু-র রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। রাজ্যসভার সাংসদও নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক জগতের ক্ষতি হল। আমি শ্যামল চক্রবর্তীর পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি''।
আরও পড়ুন: মমতার জন্য সরষে পাবদা আনাতেন সোমেন দা
সিটুর রাজ্য় সভাপতি ছিলেন শ্য়ামলবাবু। রাজ্য়সভার সাংসদও ছিলেন শ্য়ামল চক্রবর্তী। বাম জমানায় রাজ্য়ের পরিবহণমন্ত্রী ছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া।
শ্য়ামল চক্রবর্তীর প্রয়াণে সিপিএমের রাজ্য় সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র জানিয়েছেন, ''যেহেতু উনি কোভিড পজিটিভ ছিলেন, সেই কারণে ওঁর শেষযাত্রার কর্মসূচি পরে জানানো হবে। আমাদের সমস্ত পার্টি অফিসে পার্টি পতাকা অর্ধনমিত থাকবে''।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন