পর্যটক টানতে একের পর এক উদ্যোগ নিল শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্ক। উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে বসেই ব্যাঘ্র গর্জনের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা অর্জন করা যাবে এবার শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারির সৌজন্যে। সম্প্রতি দুই খুদে রয়াল বেঙ্গল টাইগারকে প্রশিক্ষণ দিয়ে পর্যটক টানতে উদ্যোগী হল বেঙ্গল সাফারি পার্ক। ১৫ মাসের কিকা এবং রিকাকে সঙ্গে নিয়েই এবার নিজের গরিমা বৃদ্ধির পথে হাঁটতে চলেছে উত্তরবঙ্গের এই সাফারি পার্ক।
সাফারি পার্কের একদা বাঘিনী শীলার তিন সন্তানের মধ্যে কিকা এবং রিকা এখন বেঙ্গল সাফারিতেই বেড়ে উঠছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এদের নাম রাখেন কিকা এবং রিকা। তবে এবার এই কিকা-রিকার মাধ্যমে সাফারিকে আরও রোমাঞ্চকর করতে উদ্যোগী হয়েছে বেঙ্গল সাফারির ডিরেক্টর ধরমদেব রাই। তাঁর বক্তব্য, "আমরা চাই, কিকা-রিকা সাফারিতে আসুক। এর জন্য আমরা যথেষ্ট প্রশিক্ষণও দিয়ে দিয়েছি। আপাতত দু’জনে খোশমেজাজেই আছে"।
আরও পড়ুন- ‘দিনের আলোয় রাতের জঙ্গল’, শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারির অভিনব উদ্যোগ
এদিকে ১৫ মাস বয়সেই বেশ করিৎকর্মা হয়ে উঠেছে কিকা-রিকা। পর্যটকদের সামনে আসতে গেলে যেসব প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়, তা মোটের উপর রপ্ত করা হয়ে গিয়েছে ওই দুই খুদে বাঘের, এমনটাই জানা যাচ্ছে। বেঙ্গল সাফারি পার্কের প্রশিক্ষকরাও ছাত্রদের পারফরম্যান্সে খুশি। এ ক্ষেত্রে একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য, মা শীলা নিজে রয়াল বেঙ্গল টাইগার গোষ্ঠীভূত হলেও, কিকা এবং রিকার মধ্যে কিকার গায়ের রং কিন্তু আর পাঁচটা রয়াল বেঙ্গল টাইগারের মতো নয়। ব্যাঘ্রপ্রেমীদের মতে সাদার মধ্যে ডোরাকাটা দাগের এই বাঘ কিন্তু বিরল প্রজাতির।
তবে বেঙ্গল সাফারি সূত্রে খবর, গরম আরও বেশ কিছুটা কমার পরই সাফারিতে অংশগ্রহণ করতে পারবে এই দুই খুদে রয়াল বেঙ্গল। এ বছরের গরমের তীব্রতার কথা মাথায় রেখেই তাদের জন্য সাফারি পার্কে তৈরি করা হয়েছে জলাধার। জলকেলিতে মত্ত কিকা-রিকাকে দেখতে যে পর্যটকেরা উৎসাহী হবেই এ ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত বেঙ্গল সাফারির কর্তারা।
শিলিগুড়ির আরও খবর পড়ুন এখানে