'দিদিকে বলো'-র আবেদন নিবেদনে আর আস্থা রাখছেন না শিলিগুড়ির বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য। সোজা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাব চাইছে দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্ট, এসজেডিএ-র ২০০ কোটি টাকা কোথায় গেল? যারা ২০০ কোটি টাকার দুর্নীতিতে যুক্ত, তাদের কেন শাস্তি হল না? দুর্নীতির তদন্তকারী পুলিশ কমিশনার কে জয়রামন কে কেন পাঠানো হয়েছিল কম্পালসারী ওয়েটিং-এ? একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হল রাজ্য সরকারকে লক্ষ্য করে।
এই সব প্রশ্নের জবাব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চাইল দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্ট। এসজেডিএর ২০০ কোটি টাকার দুর্নীতি সহ একাধিক দাবিতে এদিন এসজেডিএ অভিযান কর্মসূচী নিয়েছিল বামফ্রন্ট। সেই সঙ্গে দিদিকে বলো কর্মসূচীর নামে সরকারি অর্থ অপচয়ের তীব্র নিন্দাও করলেন বামেরা।
আরও পড়ুন, টিকিট আছে, পুরস্কার নেই! লটারি মাফিয়ার রমরমার অভিযোগ গোটা উত্তরবঙ্গে
এসজেডিএর ২০০ কোটি টাকার দুর্নীতির পূর্নাঙ্গ তদন্ত সহ একাধিক দাবিতে শুক্রবার এসজেডিএ অভিযান কর্মসূচী নিয়েছিল দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্ট। অভিযানের নেতৃত্ব দেন শিলিগুড়ির মেয়র বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য। এদিন অশোক ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে দলের প্রচার চালাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিদিকে বলো কর্মসূচীর নামে সরকারী অর্থ অপচয় করছেন। তিনি বলেন, "মানুষ দিদিকে বলতে চায় না বরং দিদির কাছে জবাব চায়। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ির মানুষ জানতে চাইছে এসজেডিএর ২০০ কোটি টাকা কোথায় গেল, দুর্নীতিতে যেসব তৃনমূল নেতা মন্ত্রী জড়িত তাদের শাস্তি হলনা কেন, দুর্নীতিগ্রস্থ নেতা মন্ত্রী আমলাদের নাম মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করায় দুর্নীতির তদন্তকারী অফিসার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার কালিয়াপ্পন জয়রামন কে কেন পাঠানো হয়েছিল কম্পালসারী ওয়েটিং-এ, মানুষ তার জবাব চায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে"।
এসজেডিএ প্রসঙ্গে অশোক ভট্টাচার্য আরও বলেন, "মানুষ যাকে ভোটে হারাল, সেই বিজয় চন্দ্র বর্মনকে জনপ্রতিনিধির বদলে মুখ্যমন্ত্রী সংবিধানের বাইরে গিয়ে এসজেডিএর চেয়ারম্যানের পদে বসালেন। মানুষ এসব প্রশ্নের জবাব চায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। জবাব না পাওয়া পর্যন্ত বৃহত্তর আকারে আন্দোলন চালিয়ে যাবে দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্ট"।