ঘটনার পর রেল পুলিশের কোন সহযোগিতা পায়নি গায়িকা রাফা ইয়াসমিন এবং তার পরিবারের অভিযোগ বাধ্য হয়ে এদিন ভোরের ট্রেনে থাকাকালীন মালদার কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্তাকে ফোন করে কলকাতার চিৎপুর স্টেশনের জিআরপির সহযোগিতা নেন।
ঘটনার পর রেল পুলিশের কোন সহযোগিতা পায়নি গায়িকা রাফা ইয়াসমিন এবং তার পরিবারের অভিযোগ বাধ্য হয়ে এদিন ভোরের ট্রেনে থাকাকালীন মালদার কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্তাকে ফোন করে কলকাতার চিৎপুর স্টেশনের জিআরপির সহযোগিতা নেন।
ইন্ডিয়ান আইডল খ্যাত এবং বহু চর্চিত মালদার গায়িকা রাফা ইয়াসমিন ও তাঁর পরিবারের ট্রেন যাত্রার সময় সর্বস্ব চুরি করল দুষ্কৃতীরা। বুধবার ভোররাতে ডাউন রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের এই ঘটনার পর রেল পুলিশের কোন সহযোগিতা পায়নি গায়িকা রাফা ইয়াসমিন এবং তার পরিবারের অভিযোগ। বাধ্য হয়ে এদিন ভোরের ট্রেনে থাকাকালীন মালদার কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্তাকে ফোন করে কলকাতার চিৎপুর স্টেশনের জিআরপির সহযোগিতা নেন গায়িকা রাফা ও তার পরিবার।
Advertisment
ওই ট্রেনের প্রথম শ্রেণীর শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় এমন চুরির ঘটনায় রীতিমতো রেল পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ডাউন রাধিকাপুর -চিৎপুর গামী এক্সপ্রেস ট্রেনে । যদিও এই ঘটনার পর কলকাতা চিৎপুর স্টেশনে নেমে সংশ্লিষ্ট এলাকার জিআরপির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গায়িকা রাফা ইয়াসমিনের বাবা রাজ্জাক হোসেন।
উল্লেখ্য , মালদা শহরের মীরচক এলাকার বাসিন্দা রাফা ইয়াসমিন গত কয়েক বছরের ব্যবধানে ভারতবর্ষের বিভিন্ন সংগীত মঞ্চে প্রতিযোগিতায় একের পর এক সাফল্য অর্জন করেছে। এমন কি সোনি টিভির ইন্ডিয়ান আইডালেও রাফা ইয়াসমিন নিজের সাফল্য তুলে ধরেছেন। এরপর দেশ-বিদেশের নাম ছড়িয়েছে মালদার এই গায়িকা রাফা ইয়াসমিনের।
বিধ্বস্ত গায়িকা ও তার পরিবার
Advertisment
রাফার বাবা রাজ্জাক হোসেন কলকাতা চিৎপুর স্টেশনের জিআরপি কে অভিযোগে বলেছেন, একটি অনুষ্ঠানের জন্য কলকাতায় গিয়েছিলাম । মঙ্গলবার মালদা টাউন স্টেশন থেকে গভীর রাতে ডাউন রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠি। এ - ওয়ান শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় আসন ছিল ১৮, ৩৪ এবং ৩৬ । ভোর ৬টা নাগাদ আমি যখন বাথরুম যাই তখনই মেয়ে আমাকে ফোন করে বলে একটি ব্যাগ ও মূল্যবান কিছু জিনিস চুরি হয়েছে। সেই ব্যাগে কয়েক হাজার টাকার নগদ , মোবাইল, পরিচয় পত্র, এটিএম কার্ড সহ আরও জরুরি কিছু জিনিস ছিল। সেই ব্যাগটি চুরি গিয়েছে। এই ঘটনার পর রেলের এমার্জেন্সি নম্বর এবং রেল পুলিশকেও ফোন করে পাইনি। তাদের কোন সহযোগিতা মেলেনি।" অবশেষে মালদার এক পুলিশকর্তার সহযোগিতা নিয়েই চিৎপুর স্টেশনের জিআরপির কাজে অভিযোগ জানায় রাজ্জাক হোসেন।
রাফার মা তানিয়া হোসেন জানিয়েছেন, 'দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেনে নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। এই ঘটনার পর আমরা রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। রেল পুলিশের সহযোগিতার চেয়েছি, কেউ এগিয়ে আসে নি'। ট্রেনে ক্রমাগত চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনায় যাত্রী পরিষেবা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন গায়িকা রাফার পরিবার। যদিও জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, চুরি যাওয়া মোবাইলের লোকেশন ধরে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।