/indian-express-bangla/media/media_files/2025/02/10/rm4rXl4xXYNyINuBFNPJ.jpg)
Mamata Banerjee: তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Mamta Banerjee protest: এসআইআর (SIR) নীতির প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার কলকাতার রেড রোড থেকে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত বিরাট প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, একাধিক মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক ও অগণিত তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। এদিন সংবিধান হাতে নিয়েই মিছিলের নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।
মিছিল শেষে জোড়াসাঁকোতে আয়োজিত সভা থেকে BJP ও কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সব রাজ্যকে কব্জা করতে পারলেও ভয় দেখিয়ে বাংলাকে দমানো যাবে না। বাংলার মানুষ সব সময় প্রতিবাদ করে এসেছে। এখন গদিওয়ালারা ভাবছে দু’কোটি নাম বাদ দিয়ে, ডিটেনশন ক্যাম্প বানিয়ে মানুষকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবে — এটা ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত।”
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বিজেপি “বাংলার ওপর রাগ পুষে রাখছে” এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। তাঁর কথায়, “বিজেপিতে একটা গদ্দার আছে, সে ৮০টা গাড়ি নিয়ে ঘোরে। সাহস থাকলে একা মানুষের মাঝে যান। আধার কার্ড করতে ১ হাজার টাকা করে নিয়ে চুরি করেছে। এখন বলছে আধার, ভোটার কার্ড বৈধ নয়! কাদের সঙ্গে গাদ্দারি করছেন? পরিবর্তন করে দিল্লির সরকার হটিয়ে দাও।”
তিনি কেন্দ্রের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েও কটাক্ষ করে বলেন, “কত কার্ড বানাবে—রেশন, প্যান, আধার, কিষান, মজদুর! ২০২৪ সালে যে ভোটার লিস্টে জিতেছে, সেটা যদি মিথ্যা হয়, তাহলে আপকা সরকার ভি ঝুঠা হ্যায়। হঠাৎ নোটবন্দি করে দিলেন, এত লোক মারা গেল, শ্রদ্ধা জ্ঞাপনও করেননি। কালো টাকা ফেরত আনার প্রতিশ্রুতিও ব্যর্থ হয়েছে।”
আরও পড়ুন-SIR 2025: রাজ্যজুড়ে শুরু SIR, ভোটারদের দুয়ারে BLO-রা, কীভাবে পূরণ করবেন এনুমারেশন ফর্ম?
এরই পাশাপাশি কেন্দ্রের মোদী-শাহদের সরকারকে সরাসরি অভিযুক্ত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মানুষকে খুন করার চক্রান্ত চলছে। বিজেপি মিথ্যা বলছে, লুট করছে। ওরা জানে বাংলায় কবজা করতে পারবে না, তাই ২ কোটি মানুষের নাম বাদ দিয়ে জেতার চেষ্টা করছে। বৈধ ভোটারের নাম বাদ পড়লে বিজেপি সরকার ভেঙে দেব।”
তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন আরও জানান, তৃণমূল হেল্পডেস্ক চালু করা হয়েছে যাতে সাধারণ মানুষ প্রয়োজনে সাহায্য নিতে পারেন। তাঁর কথায়, “আগে দু’বছর ধরে এসআইআর হয়েছিল, এবার নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহকে খুশি করতে তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে। এজেন্সি দিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। মানুষ ভয় পাচ্ছে, ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে। বাংলা ভাষায় কথা বললেই বাংলাদেশি বলা হচ্ছে — বিজেপি সবাইকে বাংলাদেশি বলছে।”
আরও পড়ুন-SIR 2025 শুরু পশ্চিমবঙ্গে! ভোটার তালিকায় কি আপনার নাম আছে? জানুন এক ক্লিকে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “যে কাজ করতে আড়াই-তিন বছর লাগে, সেটা এত তাড়াতাড়ি কীভাবে করবে? আসামে করলে হারতো বিজেপি। রোহিঙ্গারা নাগাল্যান্ড দিয়ে আসবে, সেখানে কেন এসআইআর হচ্ছে না? আসামে এনআরসি করে ১৯ লক্ষ নাম বাদ দিয়েছিল, তাতে হিন্দু-মুসলমান-পাঞ্জাবি-খ্রিস্টান—সব সম্প্রদায়ের মানুষ ছিল। এত বড় সাহস এসেছে কারণ ওরা ক্ষমতায় আছে।”
শেষে তৃণমূলনেত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, “যে সব রাজ্যে ভোট, সেখানেই এসআইআর। পাঞ্জাবের নাম কেন নেই লিস্টে? কারণ সেখানে করলে বিজেপি হারত। যেখানে বিজেপির সরকার, সেখানে পার্টি অফিস থেকেই যা বলে দেবে, সেটাই হবে। বাংলায় এই চালবাজি চলবে না।”
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us