রাজনৈতিক বৈরিতা ভুলে শেষপর্যন্ত সরকারি সাহায্য নিতে রাজি শীতলকুচিতে নিহত আনন্দ বর্মণের পরিবার। রাজনৈতিক চাপানউতোরের জেরে প্রথমে সরকারি সাহায্য নিতে রাজি ছিল না আনন্দ বর্মণের বাবা জগদীশ বর্মণ। কিন্তু শুক্রবার কোচবিহারের জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের পাশে বসে আনন্দর দাদা ও মা জানান, তাঁরা সরকারি সাহায্য ও চাকরি দুটিই নিতে রাজি। একইসঙ্গে প্রতিশ্রুতি মতো মুখ্যমন্ত্রী দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবেন আশাবাদী পরিজনরা।
বৃহস্পতিবারই নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, শীতলকুচিতে নিহত আনন্দ বর্মণ এবং জোড়পাটকি গ্রামের ৪ জনের পরিজনকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে। আর্থিক সাহায্যের কথা আগেই বলেছিলেন মমতা। জানা গিয়েছে, আনন্দ বর্মণ-সহ পাঁচজনেরই পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হচ্ছে রাজ্য পুলিশের হোমগার্ড পদে। তিনি এও জানিয়েছেন, প্রত্য়েকেরই মৃত্যুর সঠিক তদন্ত হবে। প্রত্যেকেই বিচার পাবেন। নিহত আনন্দ বর্মণের পরিবার বিজেপি সমর্থক হলেও সাহায্য ও বিচারের ক্ষেত্রে কোনও ভেদাভেদ করেননি মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন পার্থপ্রতিম রায়ের সঙ্গে দেখা করেন নিহত যুবকের পরিবার। তাঁদের পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন শীতলকুচির তৃণমূল প্রার্থী। তিনি বলেন, গতকালই আনন্দর পরিবারকে দেখা করার জন্য বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তাতে রাজি হয় পরিবার। এদিন আনন্দর মা বাসন্তী বর্মণ, দাদা গোবিন্দ বর্মণ এবং মামা দেখা করেন। তাঁরাও জানান, সরকারি সাহায্য গ্রহণ করবেন।
উল্লেখ্য, প্রথমে আনন্দের পরিবার তৃণমূল সরকারের কাছ থেকে কোনও সাহায্যই নিতে রাজি হয়নি। আনন্দর বাবা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে তবেই সাহায্য নেবেন। তাহলে কি চাপের মুখেই সে কথা বলেছিলেন তারা? সেই প্রশ্ন করতেই প্রসঙ্গ থামিয়ে দেন পার্থপ্রতিম। বলেন, পুরনো প্রসঙ্গ তুলে লাভ নেই বলে জানিয়ে দেন তিনি। আনন্দর দাদা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সবার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ১০টা পরিবারকে চাকরি দিন, তাতে বাধা নেই। কিন্তু ভাইয়ের খুনিদের শাস্তি হোক।