দেশে কোভিড আতঙ্ক বাড়তেই সতর্ক রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য দফতর কোভিড প্রতিরোধে কোমর বেঁধে লাগল। চিনের পরিস্থিতি দেখে, সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েই আগামী দিনে হাঁটতে চায় রাজ্য। ইতিমধ্যে কেন্দ্রও কোভিড গাইডলাইন দিয়েছে। সেসবকে মাথায় রেখেই স্বাস্থ্য ভবন আগামী দিনের জন্য ছয়টি পথ বেছে নিয়েছে।
স্বাস্থ্য ভবনের আশা, এই সব পথেই আগামী দিনে রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ রোখা সম্ভব হবে। এই ছয় দফা কর্মসূচির অন্যতম হল সংক্রামক করোনার জিন বিশ্লেষণ। এছাড়াও করোনা রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের ব্যবস্থা বৃদ্ধি। নিয়মিত করোনার স্যাম্পেল টেস্ট-এর মত নানা কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে। আর, এসবের মাধ্যমেই বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নবান্ন বদ্ধপরিকর।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক, করোনা রুখতে কোন ছয়টি পথ বাছল সরকার।
১) সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের অন্তত ৩০ জন করোনা আক্রান্তর শরীর থেকে নমুনা নিয়ে ভাইরাসের জিন পরীক্ষা।
২) লাগাতার ভেন্টিলেশন ব্যবস্থার ওপর নজরদারি, যাতে সময়ে কার্যকর করতে কোনও অসুবিধা না-হয়।
৩) হাসপাতালগুলোকে তার কোভিড ইউনিট নতুন করে সক্রিয় করে তোলার নির্দেশ।
৪) করোনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাড়াতে আরও ১ লক্ষ কিটস কেনার সিদ্ধান্ত।
৫) জরুরি ভিত্তিতে রোগীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা এবং রোগীকে বিচ্ছিন্ন করার প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই ডাক্তার-নার্সদের বদলির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হাসপাতালগুলো নিতে পারবে না। নেবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
৬) সমস্ত অক্সিজেন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সরকার চুক্তিবদ্ধ হবে, যাতে হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের কোনওরকম ঘাটতি না-থাকে।
আরও পড়ুন- বারবার আবেদনেও উদাসীন প্রশাসন, এখনও চাকরি-বাড়ি জুটছে না স্নাতক শবর মহিলার পরিবারের
ইতিমধ্যে সোমবার বিমানবন্দরে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলার পর সংক্রমণের ঢেউ রুখতে রাজ্যে শুরু হয়েছে যুদ্ধকালীন তৎপরতা। সোমবার জরুরি বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। বৈঠকের পর রাজ্যের সব হাসপাতালকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার শহরের তিন হাসপাতাল শম্ভুনাথ পণ্ডিত, এমআর বাঙুর এবং বেলেঘাটা আইডিতে মক ড্রিল করা হবে। পাশাপাশি, করোনার জন্য রাজ্যে আলাদা পোর্টালও তৈরি করতে চলেছে প্রশাসন।