তখন বাংলা জয়ের স্বপ্নে বিভোর ছিলেন গেরুয়া নেতারা। আত্মবিশ্বাসী ছিলেন ২০০ আসন জয়ের। নবান্ন দখলে মরিয়া বিজেপি নেতৃত্ব জানতেন আদিবাসী, দলিত, উদ্বাস্তুদের ভোট এ রাজ্যের একাধিক আসনে ফলাফল নির্ণয়ে বড় ফ্যাক্টর। তাই অমিত শাহ থেকে জে পি নাড্ডারা- বাংলায় প্রচারের ফাঁকে কখনও আদিবাসী, কখনও-বা দলিত, উদ্বাস্তুদের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন। পদ্ম ক্ষমতায় এলে এঁদেরই চাহিদা পূরণ হবে বলে কৌশলে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। রাজ্য-রাজনীতিতে যা 'মধ্যাহ্নভোজ রাজনীতি' নামেই পরিচিত হয়।
Advertisment
ভোটের ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। সংগঠনের হালও নড়বড়ে। কিন্তু, 'মধ্যাহ্নভোজ রাজনীতি' থেকে এখনও সরতে পারেনি গেরুয়া দলের নেতা, নেত্রীরা। মঙ্গলবার, হাওড়ার বালটিকুড়ি এলাকায় জনসংযোগ করে সেখানেই দলীয় কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে এ দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির নেতৃত্বে পদযাত্রা হয়। হাওড়ার কদমতলা বাস স্ট্যান্ড থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত হয় পদযাত্রা। এরপরই হাওড়ার বালটিকুড়ির বিজেপি পৃষ্ঠ-প্রমুখেরপ বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন স্মৃতি।
আমিষ নয়, নিরামিষ পদেই মধ্যাহ্নভোজ সারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। স্মৃতি ইরানির মেনুতে ছিল- ভাত, মুগের ডাল, আলু পোস্ত, শুক্ত, আলু ভাজা, পটল ভাজা, বেগুনভাজা, চাটনি এবং দই। মধ্যহ্নভোজের সঙ্গেই বিজেপি কর্মীর বাড়ির খুদেদের কখনও কোলে বসিয়ে আদর করতে, আবার কখনও খাইয়ে দিতে দেখা যায় স্মৃতিু ইরানিকে। খাওয়া শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে মহিলাদের সঙ্গে আড্ডা দিতেও দেখা যায়।
এ দিন হাওড়ার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে কর্মিসভা করেন বিজেপির এই শীর্ষ নেত্রী।