Bengaluru-Kamakhya Express Derailed: রবিবার ওড়িশার কটকে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বাঙালি যাত্রী। কটকের কাছে বেঙ্গালুরু-কামাক্ষ্যা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। সেই দুর্ঘটনায় একজনই মারা গিয়েছেন। তিনি আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা শুভঙ্কর রায়। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাকে বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন শুভঙ্কর। সেখান থেকে তাঁরা এই ট্রেনে ফিরছিলেন। কিন্তু আর ঘরে ফেরা হল না। ট্রেন দুর্ঘটনায় ছেলের মৃত্যু হলেও অক্ষত রয়েছেন মা চিত্রা রায়।
আলিপুরদুয়ার পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শুভঙ্কর একটি ইস্পাত কারখানায় কাজ করতেন। মায়ের হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল। তাঁর চিকিৎসা করাতে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন তিনি। এদিন শুভঙ্করের মৃত্যুর খবর ওড়িশা সরকার এবং রেল মারফত বাড়িতে পৌঁছতেই শোকের ছায়া নামে পরিবারে। তাঁর বাড়িতে যান তৃণমূল বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল এবং পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর।
জানা গেছে যে, এসএমভিটি বেঙ্গালুরু কামাখ্যা এক্সপ্রেসের ১১টি বগি লাইনচ্যুত হয়। যার জেরে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসএমভিটি বেঙ্গালুরু – কামাখ্যা এসি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস (১২৫৫১) বেঙ্গালুরু থেকে গুয়াহাটি যাচ্ছিল। রবিবার সকাল ১১.৫৪ মিনিটে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওড়িশার কটক স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কিছু পরেই এই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঘটে।
কামাক্ষ্যা এক্সপ্রেস বেলাইন হওয়ার জেরে ১ জন যাত্রী নিহত হন বলে জানা যায়। আহত আরও অনেকে। তাঁদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও ওড়িশার দমকল বিভাগে ডিজি সুধাংশু সারঙ্গী জানিয়েছেন, ৭ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওড়িশা টিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, কামাক্ষ্যা এক্সপ্রেসের ১১টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। ১ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ট্রেনের গতি কম থাকায় মৃত্যুমিছিল এড়ানো গিয়েছে।
উল্লেখ্য, বছর দুয়েক আগে ২০২৩ সালের ২ জুন ওড়িশারই বালাসোরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের ২১টি বগি লাইনচ্যুত হয়। যার মধ্যে তিনটি বগি পাশের লাইনে দ্রুতগতিতে ছুটে আসে বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা খায়। সরকারি হিসাবে এই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৯৬ জনের মৃত্যু হয়। আহত হাজারেরও বেশি। অধিকাংশই ছিলেন বাংলার বাসিন্দা। এদিন কটকে কামাক্ষ্যা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা সেইদিনের বিভীষিকার স্মৃতি উসকে দেয়।