মাছ ভেবে জাল তুলতেই উঠল বিশালাকৃতির ময়াল সাপ। কাকভোরে মস্ত ময়াল দেখেই চোখ কপালে স্থানীয়দের। 'ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি' দশা কয়েকজনের। রবিবার ভোরে দুর্গাপুরের এই ঘটনা ঘিরে শোরগোল তুঙ্গে ওঠে। শেষমেশ জাল-সমেত সাহসী কয়েকজন ময়াল সাপটি নিয়ে যান স্থানীয় মন্দিরে। প্রকাণ্ড এই সাপ দেখতে রীতিমতো ভিড় জমে যায় মন্দির চত্বরে। বন দফতরে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
Advertisment
দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত রাতুড়িয়া গ্রাম। দামোদর নদে প্রায়শই মাছ ধরার জন্য জাল ফলেন এই গ্রামের বাসিন্দারা। কিন্তু রবিবার ভোরে তাঁদের যা অভিজ্ঞতা হলো তা যেন গা শিউরে ওঠার মতো। এদিন সকালে বেশ কয়েকজন দামোদরের পাড়ে যান। জলে জাল ফেলার পরেই টান পড়ে। প্রচুর মাছ উঠেছে ভেবে তড়িঘড়ি জালে টান দেন কয়েকজন।
জাল ডাঙায় তুলতেই চক্ষু চড়কগাছ প্রত্যেকের। 'ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি' দশা জাল তোলা ব্যক্তিদের। মাছ নয়, জালে উঠেছে মস্ত ময়াল সাপ। বিশালাকৃতির সেই ময়াল কিলবিলিয়ে উঠছে জালের ভিতরে। তবে জালে সে এমন আষ্ঠেপৃষ্টে সে জড়িয়েছে, যে তার ফাঁক গলে বেরনোর উপায় নেই সাপটির। এদিকে, মাছ ধরার জালে ময়াল উঠেছে এই খবর চাউর হতেই ভিড় জমে যায়।
পরে জাল সমেত বিশালাকৃতির সেই ময়াল সাপটিকে আনা হয় রাতুড়িয়া গ্রামের ভিতরে থাকা মন্দিরে। ততক্ষণে মন্দির চত্বরেও ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কাকভোরে বিশালাকৃতির ময়াল সাপ দেখতে মন্দিরে রীতিমতো ঢল নামে উৎসুক জনতার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছোয় পুলিশও। তবে জনতার বিপুল ভিড় সামাল দিতে তাঁদেরও হিমশিম দশা হয়।