মিড ডে মিলের রান্না হওয়া ডালে বিষধর সাপ। বেশ কিছু পড়ুয়া খাওয়ার পর পরিবেশন করার জন্য ডালের বালতিতে সাপ নজরে আসতেই হইচই পরে যায়। বেশ কিছু পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাঁদের রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের ঢেকা অঞ্চলের মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ওই বিদ্যালয়ে ৫৩ জন ছাত্রছাত্রী। সোমবার দুপুরে ২০ জন মতো পড়ুয়া মিড ডে মিলের খাবার খেয়েছিল। মিড ডে মিল পরিবেশন করছিলেন সহায়িকারা। বালতির ডাল শেষ হতেই মৃত সাপ নজরে আসে। পড়ুয়ার মা রিনা দাস বলেন, “মেয়ে বাড়িতে এসে ডালে সাপের কথা জানায়। এরপরে স্কুলে গিয়ে দেখি বড় বিষধর সাপ বালতির মধ্যে”। খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্কুলে গ্রামবাসীরা জমায়েত হয়ে প্রধান শিক্ষকের গাড়ি ভাঙচুর করে। দীর্ঘক্ষণ তালা বন্ধ করে রাখা হয় প্রধান শিক্ষককে। পড়ে ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ গিয়ে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
প্রধান শিক্ষক নিমাই চন্দ্র দে বলেন, “দু’জন মহিলা রান্না করছিল। এদিন পরিবেশন করছিলেন চামেলি বাগদি। তিনি ডাল দিতে গিয়ে সাপ দেখতে পান। তখনও সব ছাত্রছাত্রী খাওয়াদাওয়া করেনি। দু-একজন সবে ভাত ডাল মাখিয়ে মুখে তুলেছে। সাপ নজরে আসার পর সবাইকে খেতে বারন করে দেওয়া হয়েছে”।
এদিন শিশুদের দেখতে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক। তিনি বলেন, “অসাবধান বশত হয়েছে। তবে রাঁধুনিদের আরও সচেতন হওয়া উচিত”।