লকডাউনের মেয়াদ বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই কর্মসংস্থান ও মানুষের জীবিকার উপর টান পড়েছে। বিশেষ করে দেশের গ্রাম ও মফস্বলের গরিব মানুষের সংকট তীব্র। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর যোগান সচল রাখা ও গরীবদের হাতে অর্থ পৌঁছতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ের ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। আজ থেকেই একশ দিনের কাজ, কৃষি, কৃষি পণ্য, প্রণিজ সস্পদ প্রতিপালন, গ্রামীণ নির্মাণ সহ একাধিক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে কাজ শুরু হয়েছে।
কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা মেনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া কথা জানিয়েছে। আজ, সোমবার থেকে পূর্ত দফতর, জনস্বাস্থ্য কারিগরী, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের অধীন নির্দিষ্ট উন্নয়ন কার্যসমূহ চালু হয়েছে। রাজ্য সরকার ক্ষুদ্র-কুটির ও মাঝারি শিল্পের ৭০০ ইউনিটকে কাজের ছাড়পত্র দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এদের মধ্যে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য তৈরির সঙ্গে যুক্ত ইউনিটগুলো ছাড়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রাধিকার পাবে। রাজ্য সরকারের এক আধিকারিকের কথায়, 'অনুমতি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র-কুটির ও মাঝারি শিল্পের ৭০০ ইউনিটে কাজ শুরু হবে।'
আরও পড়ুন- মিলল না কেন্দ্র-রাজ্যের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, বিরোধীদের নিশানায় তৃণমূল সরকার
কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা অনুশারে লকডাউনে একশ দিনের কাজ করা যাবে। রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু করার জন্য় জেলা প্রশাসনের কাছে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী দু-তিন দিনের মধ্যেই বাংলায় একশ দিনের কাজ চালু হয়ে যাবে। লকডাউনের ফলে বহু পরিয়ায়ী শ্রমিক বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছেন। কর্মহীন অবস্থায় তাঁদের করুণ দশা। পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে রবিবার কেন্দ্র এক নির্দেশিকা জারি করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, কাজের প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মধ্যে এক জায়গা থেকে অন্যত্র যেতে পারবেন পরিয়ায়ী শ্রমিকরা। এক্ষেত্রে তাঁদের বাসে করে কর্মস্থানে পৌঁছাতে সহযোগিতা করবে প্রশাসন। এছাড়াও জানানো হয়েছে,দক্ষতার ভিত্তিতে আশ্রয়দাতা রাজ্যেই কাজ করতে পারবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। সংশ্লিষ্ট রাজ্য একশ দিনের কাজেও যুক্ত করতে পারে পরিয়ায়ীদের। এক্ষেত্রে পরিযায়ীদের অস্থায়ী আশ্রয়ে থেকে রাজ্য প্রশাসনের কাছে কাজের দাবি জানিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় উল্লেখ, সব কাজই হবে মাস্ক ও পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে।
আজ থেকেই চালু হল সব সরকারি দফতর। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা অনুশারে, অতিরিক্ত সচিব পর্যায় ও তার উর্ধ্বতন স্তরের রাজ্য সরকারি কর্মীরা প্রত্যেকেই কাজে যোগ দিতে হবে। গ্রুপ সি পর্যায় ও তার নিম্নতম পদের ৩৩ শতাংশ কর্মী রোজ দফতরে হাজির হবেন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন