সিটের তদন্তে আস্থা নেই আনিস খানের পরিবারের। বারে বারে সেকথা জানিয়েছেন তাঁরা। দাবি করছেন সিবিআই তদন্তের। এদিকে মঙ্গলবার ও বুধবার, মৃতের বাড়িতে সিট আধিকারিকরা গেলেও আনিসের বাবা ও দাদা তাঁদের কাজে প্রকাশ্যেই অনাস্থা দেখিয়েছেন। যা নিয়ে এদিন নবান্নে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, 'সিট দ্বিতীয়বার দেহের ময়নাতদন্তের আর্জি জানালেও বাধা দেওয়া হয়েছে।' যার পিছনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ইন্ধনের সম্ভাবনানেও উস্কে দিয়েছেন তিনি। এরপরই রাজ্য পুলিশের ডিজি সাফ বলেন, 'তদন্ত কিছু রাজনৈতিক দল সিটের কাজে বাধা দিচ্ছে। মৃতের পরিবারকে বলব সিটের উপর আস্থা রাখতে।'
রাজ্য পুলিশের ডিজির দাবি, 'রাজ্য পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে সিট গড়েছে। নিরপেক্ষ তদন্তের কথা বলেছিলাম। তদন্তে এখনও যা প্রমাণ মিলেছে সেই সূত্রে দু'জনকে এখনও গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হচ্ছেন হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রতীম ভট্টাচার্য। এছাড়া, ওখানে যা যা করণীয় তা করতে সিট বার বার যাচ্ছে। ওখানে কিন্তু পুলিশ ও সিটকে কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মনে হচ্ছে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের স্বার্থ রয়েছে, তাই পুলিশকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পরিবারের তরফে এখনও মৃতের মোবাইল ফোন পুলিশকে দেওয়া হয়নি। দেহ পুনরায় ময়নাতদন্ত করতে দেওয়া হয়নি। তাসত্ত্বেও তদন্ত এগোচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে তিনজন পুলিশকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।' একইসঙ্গে খান পরিবারকে পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতার আবেদন করেছেন ডিজি।
আরও পড়ুন- আনিসকাণ্ডে গ্রেফতার ২ পুলিশকর্মী: মুখ্যমন্ত্রী মমতা
অনিসের বাবা সালেম খান প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন। রাজ্য পুলিশেক আনিসতদন্ত সম্পর্কিত কিছু বলবেন না বলে জানিয়েছেন। ছেলে হারা বৃদ্ধের দাবিকে সমর্থন করেছেন রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। যা নিয়েও সুর চড়িয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'এত দুর্বল ভাবনেন না আমাদের। নন্দীগ্রাম মামলার তদন্ত সিবিআই-য়ের হাতে। ওরা কী লক্ষ্ণণ শেঠকে গ্রেফতার করেছে? সিঙ্গুরে তাপসী মালিক হত্যাকাণ্ড কী হয়েছে? শান্তিনিকেতনের নোবেল উদ্ধার হয়েছে? নিজেদের ক্ষমতা নেই বলে রাজ্যের পুলিশ কাঠামোটা ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। আপনাদের বাড়িতে কিছু হলে পরবর্তীকালে পুলিশ ডাকবেন না তো?'
যদিও ২ পুলিশ কর্মীর গ্রেফতারির পরও সিবিআই তদন্তেই অনড় আনিস খানের পরিবার। ছেলে-হারা বাবা সালেন খান বলেছেন, 'এই পুলিশকে দিয়ে আমার ছেলেকে কারা খুন করালো? তার জন্য সিবিআই তদন্ত দরকার। আমি আদালতের নজরে সিবিআই তদন্ত চাই। আমি দুই পুলিশ কর্মীর গ্রেফতারিতে খশি নই। সিবিআই তদন্তে যা বের হবে তাই আমি মেনে নেব।'