গত ৭ বছরে এমন উষ্ণ এপ্রিল দেখেনি বাংলা। চৈত্র শেষেই ৪০ ডিগ্রির গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলেছে তাপমাত্রার পারদ। শহর কলকাতায় ৩৭ ডিগ্রির ঘরে ঘোরাফেরা করছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আগামী কয়েকদিনে একাধিক জেলায় রয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ফি দিন চড়ছে পারদ। বেলা বাড়তেই অসহনীয় হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই ঠান্ডা-ঠান্ডা কুল কুল থাকতে অনেকেই ছুটছেন এসি কিনতে। এয়ার কন্ডিশনার মেশিনের ঠান্ডা বাতাসে ঘরে এসে স্বস্তির আরাম খুঁজতে অনেকেই এসি-র ব্যাপারে রীতিমতো খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু করেছেন। তাঁদের জন্যই আমাদের এই বিশেষ প্রতিবেদন।
আগে ঠিক করুন আপনার বাজেট:
বাজারে একাধিক কোম্পানির কয়েকগুচ্ছ এসি মেশিন রয়েছে। ফিচার অনুযায়ী তাদের দামও ভিন্ন-ভিন্ন। তাই আপনার বাজেট কত, তা প্রথমে স্থির করে ফেলুন। সেই মতো কোনও ইলেক্ট্রনিক্সের শোরুম অথবা অনলাইনে এসি দেখতে পারেন। বাজেট পারমিট করলে ঘরে আনতে পারেন সাধের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ মেশিন।
ঘরের মাপ সম্পর্কে একটা আইডিয়া থাকা দরকার:
যে ঘরে এসি লাগাতে চাইছেন সেই ঘরটির মাপ সম্পর্কে আগে জেনে নিন। অর্থাৎ, ছোট ঘরের জন্য ১ টনের এসি নিলেই যথেষ্ট। ঘরের মাপ ১০০-১৪০ স্কোয়ার ফিটের মধ্যে থাকলেও ১ টনের এসি নিতে পারেন। তবে তার চেয়ে বেশি মাপের ঘর হলে দেড় টন বা তারও বেশি ওজনের এসি লাগতে পারে।
বাড়ির কোন ঘরে এসি লাগাবেন? এই বিষয়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ:
বাড়ির যে ঘরটিতে রোদ্দুর বেশি ঢোকে কিংবা তল অনুযায়ী যে ঘর উপরের দিকে রয়েছে সেটিতে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন এসি লাগাতে পারেন। সহজেই ঘর ঠান্ডা হবে। যে ঘরে রোদ্দুর কম ঢোকে, সেটিতে অপেক্ষাকৃত কম ক্যাপাসিটির এসি মেশিন লাগাতে পারেন।
কপার কয়েলযুক্ত এসি কিনুন:
কপার কয়েলযুক্ত এসি বিদ্যুতের বিল বাঁচায়। তাই এসির বিল বাবদ মোটা টাকা খরচ এড়াতে কপার কয়েলযুক্ত এসি কিনতে পারেন। এই ধরনের এসির রক্ষণাবেক্ষণ খরচও যেমন কম, তেমনই এটি বিকলও হয় কম। ফাইভস্টার যুক্ত এসি মেশিন ঘরে আনলে বিদ্যুতের বিল অনেকটাই বাঁচাতে পারবেন।