গত বছর আগাস্টে হাইকোর্টের এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমিও কিন্তু আইনজীবী, আমিও বার কাউন্সিলের সদস্য। যেকোনও দিন আমি আদালতে কেসের জন্য আসতে পারি।’ এরপর কেটে গিয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় মাস। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতের এক অনুষ্ঠানে এসে ফের নিজের আইনজীবী পরিচয়কে সামনে নিয়ে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘আমি কখনও কখনও ভাবি যে আমি নিজেই কোর্টে প্র্যাকটিস করি। কিন্তু, টাইম পেয়ে উঠছি না।’
কেন মুখ্যমন্ত্রীর এজলাসে গিয়ে সওয়াল করার ভাবনা? নিজেই তা স্পষ্ট করে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আমি কখনও কখনও ভাবি যে আমি নিজেই কোর্টে প্র্যাকটিস করি। কিন্তু, টাইম পেয়ে উঠছি না। কিন্তু কিছু কিছু কেসে ভাবছি নিজেই প্লিট করব। কারণ নিজে নিজের অন্তরের কথা যতটা বলতে পারব, একটা ব্রিফ করে দেওয়া বলা ও আরেকটা নিজে ব্রিফিং করা, নিজের অন্তর থেকে বলা এই দুটোর মধ্যে অনেক সামাঞ্জস্য ব্যহত হয়।’
আরও পড়ুন- ‘কথায়-কথায় চাকরি খাবেন না, দরকার হলে আমায় মারুন’, আবেগপ্রবণ মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী পরিস্কারভাবে এদিন বলেছেন, ‘সুযোগ থাকলে আমাকেও প্র্যাকটিসের সুযোগ দেবেন। কথা দিচ্ছি পয়সা নেব না। আমার পয়সার দরকার নেই। আমি মাইনে পেনশন নিনা। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে গত ১২ বছরে কয়েক লাখ বেতন, সাতবারের সাংসদ হিসাবে কয়েক লাখ করে পেনশন নিতে পারতাম। কিন্তু নিনা। এমনকী ওদের গাড়িও চড়ি না। চাটাও নিজের পয়সায় খাই। যদি বলেন তাহলে চালাই কি করে? তাহলে বলি, আমি বই ও গান লিখেছি, সেই রয়্যালটি থেকে পাওয়া পয়সা থেকে আমার চলে যায়। এর থেকে বেশি আমার চাই না। যতদিন বাঁচব আপনাদের জন্য বাঁচব। ভালর জন্য বাঁচব, খারপের জন্য নয়।’
আরও পড়ুন- ‘টাকার পাহাড় তো তৃণমূলের অফিসে মেলেনি, সব দায় ওদের’, পড়ুন ঘাসফুল-ব্যাখ্যা!
চাকরি দুর্নীতি থেকে আবাস যোজনার তালিকা কেলেঙ্কারির অভিযোগে একাধিক মামলায় জর্জরিত রাজ্য সরকার। যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, এতে বাংলার সম্মান ব্যহত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের ভাবনা প্রকাশ্যে তুলে ধরার পর অনেকেই মনে করছেন যে, হাল ধরতে এবার হয়তো এজলাসে সওয়াল করতে দেখা যেতে পারে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।