অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল বেহালা-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত তথা বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবন। ঘটনার ৫ দিনের মাথায় সোমনাথকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এদিন সকালে হাওড়া থেকে বাবন-সহ মোট ৭ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মোবাইল ফোন ও সঙ্গে থাকা গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর আগে বেহালার গন্ডগোল-সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে বেহালায় চড়কমেলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে। দু'পক্ষের সেই সংঘর্ষের জেরে এলাকায় গুলি চলে বলেও অভিযোগ। এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে কার্যত তাণ্ডব চালানো হয়। একের পর এক গাড়ি, বাইকে চলে বেপরোয়া ভাঙচুর। তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বেহালায় ১২১ নং ওয়ার্ডের এই এলাকা। ইট-বোতল-পাথর ছোঁড়াছুঁড়িতে জখমও হন বেশ কয়েকজন।
খাস কলকাতায় শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়ে যায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় জানান, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলের তরফেও এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করা হবে। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে ঘটনার তদন্ত করবেন বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। যদিও এই ঘটনায় আগেই ১৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। মারধর, ভাঙচুর ছাড়াও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ।
আরও পড়ুন- দুই উপনির্বাচনে জয়, ‘মা কথা রেখেছেন’ তাই প্রস্তুতি ছাড়াই হঠাৎ কালীঘাটে মমতা
এদিকে বেহালার এই সংঘর্ষে মূল অভিযুক্ত ছিল সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবন। তবে ঘটনার পর থেকে তার কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বাবনের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছিল পুলিশ। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে বারবার মোবাইল ফোনের সিম বদলে ফেলছিল বাবন। শেষমেশ হল না শেষ রক্ষা। রবিবার সকালে হাওড়ার জয়পুর থেকে সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তার সঙ্গে থাকা আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেহালার সংঘর্ষের পর ওড়িশার বালাসোরে গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল বাবন। তারপর দিঘায় ফিরেছিল। দিঘা থেকে হাওড়ায় এসে আশ্রয় নিয়েছিল বাবন। শেষমেশ হাওড়া থেকেই বাবন-সহ মোট ৭ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। রবিবারই ধৃতদের আদালতে পেশ।