কলকাতা হাইকোর্টের পর এবার সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা সোনালি চক্রবর্তীর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুনর্নিয়োগের সিদ্ধান্ত 'বেআইনি' বলে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁকে উপাচার্য পদ থেকে অপসারণেরও নির্দেশ হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় রাজ্য সরকার। এ দিন বিচারপতি ওয়াই ভি চন্দ্রচূড় ও হিমা কোহলির এজলাসে সেই মামলার শুনানি হয়। শীর্ষ আদালতও সোনালির উপাচার্য পদে পুনর্নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল। ভুল পদ্ধতিতে উপাচার্য নিয়োগের জন্য এ দিন বিচারপতি চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি কোহলি রাজ্য সরকারকে তিরস্কারও করেছেন। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, উপাচার্যের এক্তিয়ারে দখলদারি করতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার।
ইউজিসি-র নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সোনালী চক্রবর্তীকে রাজ্য সরকার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে পুনর্নিয়োগ করেছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগে কলকাতা হাইেকার্টে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছিল।
২০২১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সোনালীদেবীকে উপাচার্য পদে পুনর্নিয়োগ সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছিল রাজ্য। তবে তাতে সিলমোহর দেননি তৎকালীন রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড়। আচার্যের অনুমতি ছাড়া কীভাবে উপাচার্য নিয়োগ হল তা নিয়ে বিতর্ক হয়। জনস্বার্থ মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিল যে, সোনালী চক্রবর্তীকে রাজ্য সরকার একার সিদ্ধান্তে নিয়োগ করতে পারে না।
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল-নবান্ন সংঘাত বাড়লে রাজ্য সরকার উপার্য নিয়োগ সংক্রান্ত নতুন বিল আনে। সেখানে উল্লেখ, পদাধিকার বলে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হবেন। পরে সেই বিল বিধানসভায় পাস হয়েছে। বর্তামানে বিলটি রাজ্যপালের সিলমোহরের জন্য রাজভবনে রয়েছে।