দুর্নীতি কাঁটায় বিদ্ধ তৃণমূল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাতজে দলের দুই শীর্ষ নেতা পার্ছ চট্টোপাধ্য়ায় ও অনুব্রত মণ্ডল। শাসক দলকে নিশানা করে চরম কটাক্ষ করছে বিরোধী দলগুলি। অস্বস্তি বাড়ছে জোড়া-ফুলের। এই পরিস্থিতিতে চাপ বাড়ছে তৃণমূলের নেতৃত্বের উপরও। যা কখনও বিধায়ক অসিত মজুমদারের 'ধোলাই' তত্ত্ব, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'বদলা' তত্ত্বে স্পষ্ট। বিরোধীদের হুমকির এই ধারা অব্যাহত রাখলেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। যাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায়। সকালে করা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিকেলে মুখ খুললেন খোদ সৌগতবাবুই।
কী বলেছিলেন সৌগত রায়?
পার্থ, অনুব্রত জেলে। অক্সিজেন পেয়েছে বিরোধী দলগুলি। এই অবস্থায় সমালোচকদের পাল্টা জবাবদিতে গিয়ে কামারহাটিতে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, 'যাঁরা আমাদের নিন্দা করছেন, এরপর আমি বলব, তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে। এই দিন অপেক্ষা করছে। তৃণমূল কিন্তু রাস্তায় আছে। আমরা কোনও দোষ করিনি যে আমাদের ঘরে ঢুকে যেতে হবে। বিজেপি সিপিএমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি চোর চোর বলে মিছিল করলে তাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেব যে পার্টি অফিসে ঢুকে যেতে হবে। সাবধান থাকবেন।'
সৌগতবাবুর প্রশ্ন, 'নারদ কেলেঙ্কারিতে শুভেন্দু অধিকারীর নাম ছিল। তালিকায় নাম জড়ায় ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের। তাঁরা জেল পর্যন্ত খেটেছেন। কিন্তু কেন একবারও শুভেন্দুকে ডাকছে না সিবিআই।'
বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদের হুঁশিয়ারি মন্তব্যে শোরগোল পড়ে যায়। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, 'নারদ কেলেঙ্কারিতে যাঁরা দুর্নীতির পাহাড়ে নিমজ্জিত, তাঁদের মুখ থেকে এই সব কথা তো আসবেই। কারণ, এরা ভয়ে রয়েছে। কাল না এদের নাম চলে আসে। সেই ভয় থেকেই এইসব অশ্লীল ভাষা ব্যবহার প্রয়োগ করছেন। এর ধিক্কার জানানোর কোনও ভাষা নেই।' প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কথায়, 'সৌগতবাবুর মত মানুষের পক্ষে এই ধরণের কথা ভাবতেই পারছি না। মনে হয় দলের চাপে এসব বলছেন।'
পরে নিজের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে মুখ খুলেছেন সৌগত রায়। বলেছেন, 'যাঁরা চোর বলছেন তাঁদের উদ্দেশ্যে রূপক-অর্থে ওই ভাষার প্রয়োগ করেছিলাম। তবে, না করলেই ভাল হত। তবে এটা এমন কিছু খারাপ নয়। দুঃখ প্রকাশ করতে পারি, তবে ক্ষমা চাইব না।'