শেষমেশ পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। শুক্রবার থানায় হাজিরা দেন কাঁথির প্রাক্তন পুরপ্রধান। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থানায় হাজিরা দেন সৌমেন্দু অধিকারী। একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বিভিন্ন মামলার প্রেক্ষিতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের চেষ্টা চালাচ্ছিল পুলিশ। অবশেষে কাঁথি থানার আধিকারিকদের মুখোমুখি হলেন সৌমেন্দু।
কাঁথি পুরসভার দু'বারের পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী। অধিকারী পরিবারের সঙ্গে শাসকদলের সম্পর্ক চ্ছিন্ন হতে শুরু করার পরপরই একের পর এক অভিযোগ দায়ের হতে থাকে অধিকারী ভাইদের বিরুদ্ধে। সারদা কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। এছাড়াও কাঁথি শ্মশানের জমিতে প্রভাব খাটিয়ে দোকান তৈরির অভিযোগ, সরকারি ত্রাণের ত্রিপল চুরির মামলা পর্যন্ত দায়ের হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন- পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি করে সম্পত্তির পাহাড় গড়লেন কীভাবে? সায়গলকে জেরা ED-র
একাধিক মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সৌমেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালায় কাঁথি থানার পুলিশ। তবে এরই ফাঁকে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে আইনি রক্ষাকবচ নিয়ে নেন সৌমেন্দু অধিকারী। অর্থাৎ, পুলিশ সৌমেন্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও গ্রেফতার করার মতো কঠিন কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না বলে জানায় শীর্ষ আদালত। আইনি রক্ষাকবচ নিয়ে শুক্রবার কাঁথি থানার পুলিশ আধিকারিকদের প্রশ্নবাণের মুখোমুখি হতে পৌঁছে গিয়েছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন- ‘দুর্ঘটনা নয়, মালবাজারের ঘটনা খুন’, প্রশাসনকে তুলোধনা BJP প্রতিনিধি দলের
উল্লেখ্য, সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এর আগে ১১ অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্ট থেকে আইনি রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন সৌমেন্দু। এরপরেই কাঁথি থানার পুলিশ তাঁকে ফের ডেকে পাঠায়। পুলিশি সমনের বিরুদ্ধে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ফের একবার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কাঁথির প্রাক্তন পুরপ্রধান। হাইকোর্ট আবারও তাঁকে আইনি রক্ষাকবচ দেয। দশমীর পর তদন্তের স্বার্থে পুলিশ তাঁকে ডেকে পাঠাতে পারবে বলে জানায় হাইকোর্ট। শেষমেশ সৌমন্দু নিজেই শুক্রবার কাঁথি থানায় হাজিরা দিতে আসেন।
আরও পড়ুন- সরকারি কর্মীদের ছুটিতে কাটছাঁট নবান্নের, শনিবার থেকেই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’