বাবার চায়ের দোকান সামলে পড়াশুনার পাশাপাশি যোগাতেও রীতিমত ওস্তাদ। জাতীয় প্রতিযোগিতায় সোনা জয় হুগলির সৌমির। তার এই প্রতিভাকে কুর্নিশ জানিয়েছে সমাজের সকল স্তরের মানুষ।
শ্রীরামপুর নগার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ ও মালতি পল্লের এক মাত্র মেয়ে সৌমি। স্থানীয় একটি স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে পড়াশুনার পাশাপাশি যোগব্যায়ামে জাতীয় প্রতিযোগিতায় সোনা জিতে সকলকে চমকে দিয়েছে একরত্তি এই মেয়ে।
নগা মোড়ের কাছেই বাবার একচিলতে চায়ের দোকান। বছর পাঁচেক আগেই হার্ট অ্যাটাক হয় বিশ্বজিতের। তারপর থেকে মেয়ে অনেকটা সময় দোকানে দেওয়ার পাশাপাশি পড়াশুনা চালাচ্ছে বছর ১৬-এর সৌমি। ছোট থেকে যোগব্যায়ামে তেমন আগ্রহ ছিল না সৌমির। তবে জটিল একটি রোগের কারণে চিকিৎসকের পরামর্শেই যোগাতে ভর্তি। সেই থেকেই যোগার প্রতি ভালবাসা।
একের পর এক পদক জিতে সকলকে চমকে দিয়েছে শ্রীরামপুরের এই অগ্নিকন্যা। সম্প্রতি অসমে জাতীয় যোগা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারের পাশাপাশি সোনা জিতে সকলকে চমকে দিয়েছে মেশ চন্দ্র গার্লস স্কুলে একাদশ শ্রেণির এই ছাত্রী।
মেয়ের সাফল্যে রীতিমত উচ্ছ্বসিত পরিবার। বাবা বিশ্বজিত বলেন, "মেয়ে ছোট থেকেই যোগব্যায়ামে পারদর্শী। স্থানীয় একাধিক প্রতিযোগিতায় ও এর আগে সফল হয়েছে। তবে জাতীয় যোগা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান পাওয়াটা নিঃসন্দেহেই গর্বের"। তিনি আরও বলেন, দোকান চালানোর পাশাপাশি পড়াশুনা, স্কুল সামলে। অবসর সময়েই চলে যোগা মেয়ের প্রাক্টিস"।
অল্পবয়সেই এমন সাফল্যে খুশি সৌমি নিজেও। আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের হয়ে পদক জয় এখন তার লক্ষ্য। তবে বাবার অসুস্থতা ও পরিবারের অর্থাভাব এখন সোনার মেয়ের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।