ইতালির আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে স্থান পেতে চলেছে রবি ঠাকুরের গান। বঙ্গতনয়ার হাত ধরেই বিরাট স্বীকৃতি রবীন্দ্র সংগীতের। বাঙালির কাছে রবীন্দ্রনাথ মানে আবেগ। আর রবীন্দ্র সংগীত এক অনুপ্রেরণা।
‘বাঙালিয়ানা’ উদযাপনের জন্য বাঙালির কোনও বিশেষ উৎসবের প্রয়োজন পরে না। বাঙালিয়ানা উদযাপনকে রবি ঠাকুরের হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে সফল বঙ্গ তনয়া চিত্রকর ও সংগীত শিল্পী সৌমিতা সাহা।
দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা সৌমিতা ও ফরাসি শিল্পী গ্রেগ সৌজের পরীক্ষা মূলক রবীন্দ্র সংগীতের কাজ চলতি বছরের শুরুর দিকে স্থান করে নেয় ব্রিটেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। তবে এই বিরাট সাফল্যের পরেও থেমে থাকেনি তাদের যাত্রা। এবার সেই অনবদ্য কাজ স্থান পেল ইতালির আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, সেফালু আন্তর্জতিক চলচ্চিত্র উৎসবে।
ইতালির সিসিলিতে অবস্থিত এই উৎসবে স্থান পেয়েছে বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র ও সংগীত। ছোট থেকে গানের হাতেখড়ি। সব ধরণের গানের সঙ্গে সঙ্গে রবীন্দ্র সংগীতের প্রতি বরাবরই একটু বেশি আগ্রহ সৌমিতারা। আন্তর্জাতিক মঞ্চে রবীন্দ্র সংগীতের মাহাত্মকে জাহির কতে সৌমিতা জুটি বাঁধেন ফরাসি শিল্পী গ্রেগের সঙ্গে। তাদের গাওয়া গান সাড়া ফেলে সর্বত্র। সেই গান স্থান পায় ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে, তারপর সেই গান মনোনীত হয় ইতালির সেফলু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে।
গানটি ইতালির সেফলু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনিত হওয়ায়, বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কে শিল্পী ভাগ করে নিয়েছেন সেই সুখবর। উল্লেখ্য ফ্রান্সের পইতিয়ার শিল্পী বন্ধু গ্রেগ সৌজের রবীন্দ্র অনুরাগ মুগ্ধ করে সৌমিতাকে। তারপরই দুই প্রান্তের দুই সঙ্গীত অনুরাগীর যুগলব্দী প্রকাশ পায় রবি ঠাকুরের গান " ও যে মানেনা মানা " গানের মাধ্যমে। সৌমিতার চারুকলা জগতে রয়েছে আলাদা পরিচিতি সৌমিতার আঁকা ছবি ভারতের বিভিন্ন স্থানের পাশাপশি প্রদর্শীত হয়েছে ওয়াশিংটন ডি সি, পোর্টল্যান্ড, ও ভেনেজুয়েলার আর্ট গ্যালারিতেও। শিল্পীর স্বামী আগ্নিভ চট্টোপাধ্যায় স্ত্রীর এহেন সাফল্যে বেজায় উচ্ছ্বসিত।
গানটির বিষয়ে সৌমিতা বলেন, " গ্রেগ ফরাসি শিল্পী, ব্লুজ জ্যাজ, এসব যেমন রপ্ত করেছে গ্রেগ, তেমনই শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের উপর ওর দখল প্রশংসনীয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের প্রতি ওর টান আমায় মুগ্ধ করেছে। সেতু বন্ধন প্রথম হয় ভারত ও ফ্রান্সের মধ্য, এই সেতু চলচ্চিত্র উৎসবের মাধ্যমে রবি ঠাকুর ও বাংলা সংগীতকে জুড়েছে আরও দুটি দেশের সঙ্গে। এই বিষয়টি খুবই আনন্দের। আমি, আগ্নিভ, গ্রেগ আমরা কেউই আশা করিনি যে এটি আন্তর্জতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনিত হবে। তবে আমরা সত্যিই আশাবাদী ভবিষ্যতের আরও সাফল্য নিয়েও। সব চেয়ে বেশি আনন্দের বিষয় যতটা রাস্তা আমরা হেঁটেছি রবি ঠাকুরের হাত ধরে হেঁটেছি, এটা যে কত বড় পাওনা, আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবনা। "