Soumitra Khan on Modi Cabinet 3.0: তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর রবিবার শপথ নিয়েছেন মোদী মন্ত্রিসভার সদস্যরা। তার পর সোমবারই নয়াদিল্লিতে মন্ত্রীদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক বণ্টন করা হয়েছে। আর এদিকে মোদী মন্ত্রিসভায় ঠাঁই না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বললেন, 'আমাকে হয়তো ভয় পায়, পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতির দখল নিয়ে নেব।'
বিজেপির টিকিটে ২০১৯ এবং ২০২৪, পর পর দুবার জিতেছেন সৌমিত্র। এবারের লড়াই ছিল আরও কঠিন। প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল। তবুও শেষপর্যন্ত ভোটযুদ্ধে জয়ী হয়েছেন সৌমিত্র। কিন্তু এবারও মোদী মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হল না তাঁর। স্বভাবতই চাপা অভিমান তাঁর গলায়। বললেন, "আমাকে হয়তো ভয় পায়, পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতির দখল নিয়ে নেব। আমি মুকুলের অনুগামী ছিলাম, গোটা রাজ্যে প্রভাব চিল। আমার নবান্ন অভিযান দশটা আন্দোলনের মধ্যে অন্যতম। বাংলা পূর্ণমন্ত্রী না পাওয়ায় অনেকে হতাশ। ২ কোটি ৩৮ লক্ষ মানুষ ভোট দিয়েছেন, তাঁদের কাছে খারাপ বার্তা যাচ্ছে।"
কয়েকদিন আগে নির্বাচনে তৃণমূল-বিজেপির সেটিংয়ের তত্ত্ব এনেছিলেন সৌমিত্র। বেসরকারি এক সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌমিত্র খাঁ বলেছেন, “রাজ্যে যে ফল হয়েছে তা অসম্ভব। এমন ফল হওয়ার কথা ছিল না”। তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির আঁতাতের অভিযোগও তুলেছেন বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। তিনি বলেন, "অঞ্চল স্তর থেকে জেলা, জেলা থেকে রাজ্যস্তরে বিজেপির একটা অংশের সঙ্গে তৃণমূলের সেটিং হয়েছে। যার কারণে বেশ কয়েকটি জেতা আসনও আমরা হেরে গিয়েছি। আরামবাগ আসনে আমাদের হারার কথাই ছিল না। বিজেপির আরও তিন থেকে চারটে সিট বাড়ত”।
আরও পড়ুন Tax Devolution: মোদী মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই বড় সিদ্ধান্ত, পশ্চিমবঙ্গকে প্রচুর টাকা পাঠাল কেন্দ্র
বিজেপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, "নেতাদের অহংকার ত্যাগ করতে হবে। অযোগ্যদের বসালে যা হওয়ার তাই হয়। আজ সংঘ পরিবার ছিল বলেই বাংলায় এই ভোটটা পেয়েছে”। আরএসএস না থাকলে ভোটের শতাংশ ৩০%-এর নিচে নেমে যেত”।
প্রসঙ্গত, বাংলা থেকে মোদী মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন মাত্র দুজন। সুকান্ত মজুমদার এবং শান্তনু ঠাকুর। শান্তনুকে করা হয়েছে জাহাজ এবং জলপথ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী এবং সুকান্তকে করা হয়েছে শিক্ষা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী।