ত্রিপুরার পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হচ্ছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ত্রিপুরা সরকারের তরফে পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী মঙ্গলবার কলকাতায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানেই মহারাজকে (সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডার নাম) এই প্রস্তাব দেন মন্ত্রী। বৈঠকের মাঝেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সৌরভ। তারপরই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন সৌরভ।
জানা গিয়েছে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই লন্ডনে যাবেন। সেখান থেকে ফেরার পরই তাঁর সঙ্গে ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর সংক্রান্ত বিস্তারিত চুক্তি হবে। তার পরই শ্যুটিং নিয়ে চূড়ান্ত দিন নির্ধারণ করা হবে।
পাহাড় ঘেরা উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য ত্রিপুরা। সেখানে পর্যটনের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি শাসিত পড়শি বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্যটি চায় বাংলা থেকেও মানুষ সেরাজ্যে পর্যটনের আকর্ষণে বারে বারে যাক। এদিকে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আপামর বাঙালি তথা দেশের ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে আইকন। সেই কথা বিবেচনা করেই ত্রিপুরার পর্যটনের উন্নতিতে সৌরভকে কাজে লাগাতে চেয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সরকার। আর তাতেই সম্মতি জানিয়েছেন খোদ মহারাজ।
তবে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এভাবে ত্রিপুরা সরকারের প্রস্তাবে সম্মতি জানানোটা বেশ তাৎপর্যবাহী বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, তাঁর আইসিসি চেয়ারম্যান হতে না পারাকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূল বাকযুদ্ধ তুঙ্গে উঠেছিল। সৌরভের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বাঙালি এই আইকনকে বঞ্চনা নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, বইমেলা সহ পশ্চিমবঙ্গ সরকার আয়োজিত নানা অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত শোনা যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গেও সৌরভের ভালো সম্পর্ক। এই প্রেক্ষিতে, আচমকা ত্রিপুরা সরকারে প্রস্তাবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যারে রাজি হওয়া বহু জল্পনায় ইন্ধন দিচ্ছে।