Sourav Ganguly on Join Politics: পদ্ম, নাকি জোড়া-ফুল- কোন শিবিরে মহারাজ? মাঝে মধ্যেই তা নিয়ে চর্চা চলে। এসব নিয়ে আগেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু, বাঙালির এই আইকনকে নিয়ে জল্পনা থামার নয়। এবার সৌরভ সঞ্চালিত 'দাদাগিরি'র অনুষ্ঠানেই ফের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে ধেয়ে এল প্রশ্ন। জবাবে কী বললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়?
'দাদাগিরি'র একটি এপিসোডে এসেছিলেন বাংলার সিনেমার সুপারস্টার তথা সাংসদ দেব, বাংলার রকস্টার রূপম ইসলামরা। সেখানেই দেব রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে সৌরভকে প্রশ্ন ছুড়ে দেন। ঘাটালের সাংসদ জানতে চান দাদা কি কখনও দেশের প্রধানমন্ত্রী বা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হবেন? হলে কোন কাজটা সবার আগে করবেন?
'বাপি বাড়ি যা' শট ছিল সৌরভের পেটেন্ট। দেবের ইয়র্কার প্রশ্নও যেন সেভাবেই বাউন্ডারিতে পাঠালেন ফর্মে থাকা বাংলার মহারাজ। খুলে বললেন নিজের উপলব্ধির কথা।
রাজনীতিতে যোগ নিয়ে সৌরভ বলেন, 'আমাদের সমাজে অনেকেই বলেন, আচ্ছা করে দাও। এই করে দাও শব্দটা ঠিক নয়। আসলে কাউকে কিছু করে দেওয়াটা কথা নয়। কারণ এটা একজন মানুষের অধিকার। সেটা তাঁর প্রাপ্য। আমি চাই প্রতিটা মানুষ স্বাবলম্বী হোক। বিশেষ করে সমাজে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা মানুষদের রোজগারের ব্যবস্থা হওয়াটা সবার আগে জরুরি।'
২০২২ সালে বেহালার গঙ্গোপাধ্যায় বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন অমিত শাহ। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্পেন সফরেও ছিলেন বাংলার এই আইকন। সৌরভের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসাও শোনা গিয়েছিল। এরপরই সৌরভের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। পরে দাদা বলেছিলেন, 'আমি এমপি নই, এমএলএ নই। কাউন্সিলরও নই। তাও আমি কিছু করলেই কেন এত চর্চা হয় জানি না। আমি যেখানেই যায় তা নিয়ে কারও কাছে উত্তর দিতে বাধ্য নয়। রাজনীতিতে আমি আগ্রহী নই। আমাকে বিশ্বের বহু জায়গা থেকে আমন্ত্রণ করা হয়। আমাদের মানুষ চেনেন। আমার কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। আমার কাছে স্পেন, কলকাতা, দিল্লি কোনও তফাত নেই। আমরা মানুষ।'
'দাদাগিরি'র ওই এপিসোডে সৌরভ জানান, তিনি রাজনীতিতে আগ্রহী নন। তবে, তাঁর বাড়িতে যাঁরা আসতে চান, তাঁরা আসতেই পারেন, তিনি প্রত্যেকের সঙ্গে সৌহার্দের সম্পর্ক বজায় রাখবেন।