আবারও শুটআউট ক্যানিংয়ে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী ভর্তি পার্ক সার্কাসের চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। শনিবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূল কর্মী জসিমউদ্দিন মোল্লা। ইটখোলা পঞ্চায়েত এলাকায় তাঁকে ঘিরে ধরে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা? উঠছে প্রশ্ন।
মাসখানেক আগেই ক্যানিংয়ে এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য-সহ মোট তিনজনকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। ওই তিনটি খুনও শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল বলেই অভিযোগ উঠেছিল। প্রথমে কুপিয়ে তারপর গুলি করে খুন করা হয়েছিল তিনজনকে।
সেই ঘটনার পর এক মাস কাটতে না কাটতেই ফের তৃণমূল কর্মীর উপর প্রাণঘাতী হামলা। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন জসিমউদ্দিন মোল্লা। ক্যানিংয়ের ইটখোলা পঞ্চায়েত এলাকায় তাঁর বাইকটি আটকায় জনা কয়েক দুষ্কৃতী।
আরও পড়ুন- ‘চোর চোর’ শুনলেও ‘ধৈর্য বজায় রাখুন’, তৃণমূল কর্মীদের প্রতি আহ্বান ফিরহাদের
তাঁকে ঘিরে ধরে পরপর গুলি ছুঁড়তে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। জসিমউদ্দিনের চিৎকারে ততক্ষণে এলাকায় বেশ কিছু লোকজন জড়ো হয়ে গিয়েছিল। তবে এরই মধ্যে একটি গুলি ছিটকে এসে লাগে জসিমউদ্দিনের শরীরে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। জখম জসিমউদ্দিন এলাকার সক্রিয় তৃণমূলকর্মী হিসেবেই পরিচিত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে অবস্থার অবনতিতে তাঁকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনার নেপথ্যেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, অভিযুক্তরা ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে ফের একবার শুটআউটের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকয় যথেষ্ট আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।