আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসের সত্যতার হাতেনাতে প্রমাণ দিল ঝড়-বৃষ্টি। সোমবার বিকেলে যার জেরে নাজেহাল দশায় কাটাতে হল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গবাসীকে। তুমুল ঝড়, সঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টিতে দিশাহারা হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। কলকাতায় ঘণ্টায় ৮৪ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যায়। শহরের ১৯টি জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ে। তিন মিনিট ধরে চলে ঝড়ের তাণ্ডব। জেলার বিভিন্ন জায়গায় আবার ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটারেরও বেশি বেগে ঝড় বয়ে গিয়েছে।
Advertisment
কোলাঘাটে ঝড়ের দাপটে ওভারহেডের তার ছিঁড়ে যায়। যার জেরে আগুন লেগে যায় লোকাল ট্রেনে। শিয়ালদহের মেন লাইনের উত্তর শাখায় শ্যামনগর ও কাঁকিনাড়ার মধ্যে লাইনে গাছ ভেঙে পড়ে। আপ ও ডাউনের ট্রেন চলাচল বিকেল ৫টা ৩৫ থেকে বন্ধ হয়ে যায়। দক্ষিণ বারাসত-জয়নগর, বারুইপুর, লক্ষ্মীকান্তপুরের মত বিভিন্ন সেকশনে ট্রেন চলাচল সন্ধের পর বন্ধ হয়ে পড়ে। জয়নগরে লাইনে গাছ পড়ে বাধে বিপত্তি। পরিস্থিতি সামলাতে রেলের তরফে বিভিন্ন জায়গায় লাইনে তার মেরামতির জন্য টাওয়ার ভ্যান পাঠানো হয়।
শিয়ালদহের পাশাপাশি, হাওড়া শাখাতেও ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। চন্দননগরে আপ লাইনে ওভারহেড তারে গাছের ডাল পড়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কোন্নগরেও আপ লাইনে ওভারহেড তারে গাছ আছড়ে পড়ে। ঝড়-বৃষ্টিতে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন অফিসফেরত যাত্রীরা। স্টেশনে ভিড় বাড়তে থাকে। যার জেরে চলাচল শুরুর পরও ট্রেনগুলোয় উঠতে পারেননি যাত্রীরা। সন্ধের ট্রেন প্রায় মাঝরাতের কাছাকাছি সময়ে এসে পৌঁছয়।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত চলতে পারে প্রকৃতির এমন তাণ্ডব। যাতে ঝড় ও বৃষ্টি দুটোই চলবে। ঝড়ের গতি থাকবে ন্যূনতম ৩০ কিলোমিটার। পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টির পাশাপাশি ঝড়ের গতিবেগ বেড়ে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার হয়ে যেতে পারে। তবে, শুধু দক্ষিণবঙ্গই নয়। উত্তরবঙ্গেও শনিবার পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।