আমেই পরিচতি এ জেলার। রাজ্য তথা এদেশ তো বটেই মালদহের সুস্বাদু আম ফি বার রফতানি হয় বিদেশেও। অতীতে রাজ-রাজাদের কাহিনী ঘাঁটলেও মালদহের আমের প্রসঙ্গ আসবেই। তবে এবার এখনও এই আমের দেখা নেই। তার আগে জেলার বাজার ছেয়ে গিয়েছে দক্ষিণ ভারতের রকমারি আমে। অনেক ক্রেতাই মালদহের আম ভেবেই তা কিনছেন। কিন্তু সেই আমের স্বাদ-গুণ মালদহের নিজস্ব আমের ধারে কাছ দিয়েও যায় না। তফাত টের পেয়েই কপালে ভাঁজ ক্রেতাদের।
Advertisment
মালদহ জেলার ফল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ ভারতের আম মালদহের বাজারে নেমে গিয়েছে। সেই আমই এখন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি হচ্ছে। খদ্দেরদের ঠকানোর কোনও বিষয় নেই। কারণ, অধিকাংশ ক্রেতাই জানেন মালদহের আম এই সময় নামে না। আরও মাসখানেক পর মালদহের নিজস্ব আম বাজারে আসে।
তার আগে দক্ষিণ ভারতের আমই বিক্রি হচ্ছে জেলাজুড়ে। কেজি প্রতি ১০০ টাকা কোথাওবা ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে সেই আম। দক্ষিণ ভারতের বেগুনফুলি আম বিক্রি হচ্ছে এই জেলায়। তবে আর কিছুদিনের মধ্যেই মালদহের গোলাপখাস আম বাজারে এসে যাবে।
মালদহ শহরের রথবাড়ি বাজার থেকে শুরু করে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বাজারগুলিতে ঢেলে বিক্রি হচ্ছে দক্ষিণ ভারতের আম। হলুদ এবং কোনওটা টকটকে লাল রংয়ের এই আম নজর কাড়ছে ক্রেতাদের। মালদহ জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক সামন্ত লায়েক জানিয়েছেন, মালদহের আম বরাবরই একটু দেরিতে বাজারে আসে। মে মাসের শেষের দিকে অথবা জুনের প্রথম দিক থেকে মালদহের আম বাজারে চলে আসবে।
বর্তমানে দক্ষিণ ভারতের আম বাজারে এসেছে। কারণ, দক্ষিণ ভারতে ডিসেম্বরের প্রথমেই গাছে মুকুল চলে আসে। তিনি বলেন, ''মালদহে ফেব্রুয়ারি থেকে আমের মুকুল আসে। স্বভাবতই দক্ষিণ ভারতের আম এই সময় বড় হয়ে যায় । যার ফলে সেই আম ইতিমধ্যে বাজারে চলে এসেছে। কিন্তু স্বাদে-গুণে মালদহের আমের ধারে কাছেও থাকবে না দক্ষিণ ভারতের ওই আম।''