ভাইফোঁটা উপলক্ষে বুধবার দুপুরে চাঁদের হাট বসেছিল ৩০/বি, হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে। ফিরহাদ হাকিম থেকে অরূপ বিশ্বাস, সুব্রত বক্সি, ডেরেক ও'ব্রায়েন, শান্তনু সেনরা এসেছিলেন 'দিদি'র হাত থেকে ফোঁটা নিতে। তার মাঝেই দেখা গেল 'বান্ধবী' বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে হাজির হয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ও।
বেশ কিছুক্ষণ থেকে 'দিদি'র বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান শোভন-বৈশাখী। গত কয়েক দশক ধরেই মমতার হাত থেকে ফোঁটা নিচ্ছেন কানন (শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ওই নামেই ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী)। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেলেও এই প্রথার অন্যথা হয়নি। এবারও ব্যতিক্রম হল না।
ফোঁটা পড়ে বাড়ি ফেরার পথে এ দিন শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'বন থেকে বাঘকে সরানো যায়, বাঘের মন থেকে বন সরানো যায় না৷' ইঙ্গিতে কী বোঝালেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র? এখনও তাঁর হৃদয়ে রয়েছে তৃণমূল! এটাই বোধহয় বোঝানোর চেষ্টা করলেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়, তিনি এখনও মমতার কতটা অনুগত তা বোঝাতে বললেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলে যা স্যাক্রিফাইস করার দরকার, তার জন্য আমি তৈরি আছি৷'
শোভন যখন এসব বলছেন বৈশাখী তখন গাড়ির মধ্যে তাঁর পাশে বসে ছিলেন। সব ভুলে এখন 'দিদি'র প্রতি তাঁরও আপার ভক্তি। বললেন, 'পদে থেকে দিদিমণির ভালবাসা না পাওয়ার চেয়ে , পদে না থেকে দিদিমনির ভালবাসা পাওয়া অনেক বড় ব্যাপার৷'
এবারের ভ্রাতৃদ্বিতীয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে আমন্ত্রিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, সুব্রত বক্সী, ডেরেক ও’ব্রায়েনরা। এছাড়াও নিমন্ত্রিতদের তালিকায় দেখা যায় রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান, লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা সমীর চক্রবর্তী এবং উলুবেড়িয়া উত্তরের বিধায়ক নির্মল মাজিদের। ফোঁটায় 'দিদি'র আশীর্বাদ পেয়ে সকলেই আপ্লুত।
আরও পড়ুন- ‘দিদি’র ভাইফোঁটা: এবার কালীঘাটে তৃণমূলের নতুন মুখ কারা?