কন্যা দিবস উপলক্ষে সোশাল মিডিয়ায় মেয়ে মহুলকে উদ্দেশ্য করে পোস্ট করেছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতেই বড় ঘোষণা করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের 'বান্ধবী'। জানিয়েছেন কন্যার নতুন পরিচয় প্রাপ্তির কথা।
Advertisment
ডটার্স ডে'র জন্য সোশাল মিডিয়ায় মেয়ের সঙ্গে একাধিক ছবি পোস্ট করেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সঙ্গেই লিখেছেন বহু কথা।
প্রতিদিনই ডটার্স ডে
ফেসবুকে বৈশাখী লিখেছেন, 'কাল ডটার্স ডে ছিল মহুল? আমার জন্য তো সেই ২০১২ সালের ১ নভেম্বর থেকে প্রতিদিনই ডটার্স ডে। আমি অত্যন্ত ধন্য তোমার মতো একজন মেয়ে, একজন বন্ধুকে পেয়ে যে সবসময় আমায় সঠিক পথে চালিত করেছে। আমি চাই তুমি একজন যোদ্ধা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরো। তুমি জানো মহুল, আমায় নিয়ে যা যা কথা বলা হয়েছে ভালো মন্দ, নোংরা, প্রশংসনীয় তার মধ্যে সব থেকে কোনটা ভালো? আমি মহুলের মা। তোমায় ভীষণ ভালোবাসি।'
বৈশাখীর বার্তা শোভনের জন্যও
'আমি যতই বলি মহুল কেবল আমার মেয়ে, শোভন ওর কাছে বাবার থেকেও বেশি। আমি যে মানুষটাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে এসছি সে আমায় মহুলের মা হতে সাহায্য করেছে, আমি তার প্রতি সর্বদা কৃতজ্ঞ থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সে এমন এক মহিলার পা চাটতে শুরু করে যে আমার মেয়ের ক্ষতি করতে চেয়েছে, শিডিউল কাস্ট হওয়ার জন্য তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। এদিকে মহুলের দুষ্টু শোভনকে দেখুন যে ওকে আশ্রয় দিয়েছে, ওর পাশে থেকেছে সব কিছুতেই।'
মহুলকে কী অনুমতি শোভনের?
'এবার অনুমান করুন তো যে ডটার্স ডে'তে ও মহুলকে কী উপহার দিয়েছে? মহুল দুবছর আগে দুষ্টুকে বলেছিল যে ও আর মনোজিতের পদবী ব্যবহার করতে চায় না। গতকাল শোভন ওকে ফাইনালি সেই সার্টিফিকেট দেয় যেখানে ও কেবল রিলিনা বন্দ্যোপাধ্যায়, রিলিনা বন্দ্যোপাধ্যায় মণ্ডল নয়। এখন থেকে মহুল খালি আমার, আমার মেয়ে। অনেক ধন্যবাদ শোভন।'
খাতায় কলমে এখনও ডিভোর্স হয়নি শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রত্নার। তবে বিবাব বিচ্ছেদের মামলা চলছে। গত সেপ্টেম্বরেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বেহালার বসতবাড়ি কিনে নিয়েছিলেন বলে ঘোষণা করেছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর রত্নাদের ওই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ পাঠিয়েছিলেন শোভন-বান্ধবী। যার বিরুদ্ধে পাল্টা সোচ্চার হয়েছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়।