শারীরিক অবস্থার অবনতি, হাসপাতালে ভর্তি করা হল মন্ত্রী শোভনদেবকে

শ্বাসকষ্ট না থাকলেও করোনা সংক্রমিত হওয়ার দিন সাতেক পরও মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের জ্বর এবং গায়ে ব্যথা রয়েছে।

শ্বাসকষ্ট না থাকলেও করোনা সংক্রমিত হওয়ার দিন সাতেক পরও মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের জ্বর এবং গায়ে ব্যথা রয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

শ্বাসকষ্ট না থাকলেও করোনা সংক্রমিত হওয়ার দিন সাতেক পরও মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের জ্বর এবং গায়ে ব্যথা রয়েছে। শরীর খুব দুর্বল। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শে রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হল। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি করোনা আক্রান্ত হন শোভনদেববাবু। এতদিন তাঁকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়।

Advertisment

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি নিজেই টুইট করে করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, 'আমি করোনায় আক্রান্ত। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছি। যাঁরা আমার সংস্পর্শে এসেছেন গত সাত দিনে, দয়া করে পরীক্ষা করিয়ে নিন।' বিদ্যুৎমন্ত্রীর বয়সই আপাতত চিন্তার কারণ চিকিৎসকদের।

তবে, সম্প্রতি করোনার দাপট খানিকটা কমার ইঙ্গিত মিলতেই ফের রাজনৈতিক এবং সরকারি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছিল শোভনদেব চট্টোপাধ্যাকে। গত মঙ্গলবার সরস্বতী পুজোর দিনও প্রচুর মানুষের সংস্পর্শে আসেন তিনি। নিজের বাড়ির পাশাপাশি পুজো করেন তৃণমূল ভবনেও। সেদিন রাত থেকেই শোভনবাবুর অসুস্থতা শুরু হয়। পরদিন বুধবার করোনা পরীক্ষা করান তিনি। রিপোর্ট আসে পজিটিভ।

এ রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত মন্ত্রী-বিধায়কের তালিকাটা দীর্ঘ। রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। হাওড়া শিবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক জটু লাহিড়িও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এখন তিনি সুস্থ। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী, ফুয়াদ হালিম, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষের মতো নেতাদের শরীরেও থাবা বসিয়েছিল এই মারণ ভাইরাস। প্রত্যেকেই অবশ্য সুস্থ হয়ে উঠেছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে মৃত্যু হয় এগরার বিধায়ক সমরেশ দাস, ফলতার তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের।

Advertisment

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc corona