'২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রক্তের হোলি খেলা চলেছে বাংলায়। ভোটের ফল প্রকাশের পরেও সন্ত্রাস থামছেই না। গোটা ভোট-পর্ব ও তার পরেও মুড়ি-মুড়কির মতো প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। ভোটে বেলাগাম সন্ত্রাসে মন খারাপ বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি বললেন, 'এটা ভালো লাগছে না, মমতার সঙ্গে কথা বলব।'
কী বলেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়?
তাঁর কথায়, 'আমি নিজে হিংসার তীব্র বিরোধী। আমিও পঞ্চায়েত ভোট করেছি। কোনও দল অভিযোগ করতে পারেনি। গণতন্ত্রে যাঁদের ন্যূনতম ভক্তি-শ্রদ্ধা আছে, তাঁরা গন্ডগোল করে না। জোর করে জেতার কোনও অর্থ হয় না। আমিও পঞ্চায়েত ভোট করেছি। কিন্তু রিগিং করতে দিইনি। মানুষের রায়ে জিতব, জোর করে জিতে লাভ কী? এটা অনির্দিষ্টকাল চলতে পারে না। এটা আমার ভালো লাগছে না। আমি মমতার সঙ্গে কথা বলব।'
এদিকে, বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতার মন্তব্যের জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় প্রবীণ মানুষ। তবে এগুলো বিজেপি করছে।'
আরও পড়ুন- এ কী কাণ্ড ঘটালেন বিজেপি সমর্থক? গাঁয়ের পঞ্চায়েতে পদ্ম পতাকা উড়তেই…
উল্লেখ্য, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সীমাহীন সন্ত্রাস দেখেছে গোটা রাজ্য। মুড়ি-মুড়কির মতো মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। রাজনৈতিক একাধিক সংঘর্ষে শাসকদল তৃণমূল থেকে শুরু করে বিরোধী বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস আইসএফ-এর নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটের দিন জেলায়-জেলায় সংঘর্ষের খবর মেলে। বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট, মারামারি, খুনোখুনির ভুড়ি-ভুড়ি অভিযোগ সামনে এসেছে। বহু ক্ষেত্রে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধেই ভোটে বেলাগাম সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। তবে একাধিক এলাকায় বিরোধীদের বিরুদ্ধেও এই একই অভিযোগে সরব হয়েছে শাসকদল।
আরও পড়ুন- শ্রীঘরেই মন দেওয়া-নেওয়া, শেষমেষ এক হল দুই বন্দির চারহাত, সৌজন্যে কারামন্ত্রী
পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা নিয়ে এর আগে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, মদন মিত্রদের। তাঁরাও সন্ত্রাস এড়িয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। দলের নীচুতলার একাংশের কর্মীদের সন্ত্রাসের রাজনীতি থেকে সরে আসার বার্তাও দিয়েছিলেন বাবুল। এবার সেই একই বার্তা বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলে প্রথম দিন থেকে পথ চলা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের।