scorecardresearch

‘বৈশাখী সিঁদুরও পরবে, মঙ্গলসূত্রও পরবে’, রত্নাকে থামাতে আরও কী কী বললেন শোভন?

সোমবার বৈশাখীকে বিঁধে নানা মন্তব্য করেছিলেন রত্না। বৈশাখীর ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে আজ জবাব দিলেন শোভন।

sovon confess that he gave permission baisakhi to use sindoor
রত্নার টিপ্পনি উড়িয়ে ফের বৈশাখীর ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন শোভন।

রত্নাকে ফেসবুকে জবাব শোভনের। শুধু জবাব দিয়েই ক্ষান্ত থাকলেন না প্রাক্তন মেয়র। সাফ বললেন, ‘বৈশাখীকে সিঁদুর পরার অনুরোধ বা উপদেশ যদি কেউ দিয়ে থাকে তবে তার নাম শোভন চট্টোপাধ্যায়।’ এভাবেই রত্না চট্টোপাধ্যায়ের চাঁচাছোলো প্রশ্ন-টিপ্পনির উত্তর দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।

উল্লেখ্য, বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার শুনানিতে সোমবার আদালতে গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালতে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে নানা টিপ্পনি-কটূক্তি উড়ে আসে। বৈশাখীর অভিযোগ, আদালতে রত্না চট্টোপাধ্যায় প্রচুর লোকজন এনেছিলেন। তাঁরাই তাঁকে ভয় দেখিয়েছেন, হুমকি দিয়েছেন এবং নানা কটূক্তিও করেছেন। জবাবে গতকালই সংবাদমাধ্যমের সামনে রত্না চট্টোপাধ্যায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধে বলেন, ‘উনি তো ছেলেধরা। ওঁর আবার ভয় কি! কেউ কিছু করবে না।’ এখানে থেমে না থেকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় কেন সিঁদুর পরেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়।

রত্না চট্টোপাধ্যায়কে সোমবার কিছু না বললেও মঙ্গলবার দুপুরে ফেসবুকে উত্তর দিলেন শোভন। এদিন ১৬ মিনিটের ভিডিও-য় সোজাসাপ্টা কানন। তিনি বলেন, ‘আমি এখন জনপ্রতিনিধি নই। কিন্তু যাঁর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ চাইছি তিনি একজন পুর প্রতিনিধি, একজন বিধায়ক হয়েও হুমকির সুরে কথা বলছেন। তিনি বলছেন প্রয়োজনে কোর্ট ঘেরাও করব। এটা কি জন প্রতিনিধির মানসিকতার পরিচয়? সংবাদমাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাকে এনেছেন। তিনি বলছেন বৈশাখী ছেলেধরা। আমি মনে করি ২২ বছর সংসার করার পর ৫ বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেছিলাম। এই একটিই কারণেই। এই ছেলেধরার অভ্যাসে অভস্ত মহিলার সঙ্গে আমি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেছিলাম। সেখান থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমি ৫ বছর ধরে কোর্টে পায়ে পথে হেঁটে বিচারকের কাছে আমার বক্তব্য তুলে ধরেছি।’

আরও পড়ুন- চা পানে এসে আস্ত কাপও চিবিয়ে খাচ্ছেন ক্রেতারা, গল্প নয় এ সত্যি!

১৬ মিনিটের ভিডিও-য় এদিন রত্নাকে বিঁধে শোভন আরও বলেন, ‘২২ বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ থাকার পর বুঝেছি আমি একজন ছেলেধরায় অভ্যস্ত মহিলার সঙ্গে আবদ্ধ হয়েছি। সেই দিনই নির্দিষ্টভাবে অভিযোগ এনে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেছি। বলছেন ছেলেধরা? আমাকে কুলাঙ্গার, দুশ্চরিত্রও বলেছেন। সব বিশেষণে গালাগাল করতে আপনার বাধেনি। আপনি বৈশাখীকে ছেলেধরা বলে কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়ছেন। বৈশাখী যেদিন তার স্বামীর সঙ্গে থাকতে পছন্দ হয়নি, সেদিন ছেড়ে চলে গেছে। তারা পরস্পরের থেকে দূরেও সরে গেছে। বৈশাখীকে ছেলেধরা না বলে নিজে আয়নার দিকে তাকান।’

আরও পড়ুন- তদন্তের ধরনে যারপরনাই ‘বিরক্তি’, CBI অফিসারকে সরিয়ে ছাড়লেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

এরপরেই বোমা ফাটান শোভন। সাফ বলেন, ‘আপনি জিজ্ঞাসা করছেন বৈশাখী কেন সিঁদুর পরবে? বৈশাখীর সিঁদুর পরার অধিকার নিয়ে আপনার আপত্তিটা কোথায়? বৈশাখীকে সিঁদুর পরার অনুরোধ বা উপদেশ যদি কেউ দিয়ে থাকে তবে তার নাম শোভন চট্টোপাধ্যায়। আমি মনে করি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সিঁদুর পরবে, মঙ্গলসূত্রও পরবে। যতদিন আমি বেঁচে থাকব।’

Stay updated with the latest news headlines and all the latest Westbengal news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Sovon confess that he gave permission baisakhi to use sindoor