দুর্নীতি ইস্যুতে আবারও বোমা ফাটালেন কৃষিমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। 'লোকে বলছে আমাদের দলে চোর আছে, আছে তো।', ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও-য় এমনই বলতে শোনা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই তৃণমূল নেতাকে। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে অন্যতম শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মুখ থেকে এই ধরনের মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে জোরদার চর্চা ছড়িয়েছে।
দুর্নীতি ইস্যুতে এর আগেও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তাঁরই দল নিয়ে কয়েকটি মন্তব্য করে বিতর্কের সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন। এবার আরও একবার দুর্নীতি ইস্যুতে বলতে গিয়ে বোমা ফাটালেন তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান নেতা। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''লোকে বলছে আমাদের দলে চোর আছে। আছে তো। আমি তো সেই দল খুঁজছি, যে দলে একটাও চোর নেই। যে দলে চোর নেই সেই দলের পার্টি অফিসে ঝাঁট দিতেও পারি।''
এরই পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েও এদিন মুখ খুলেছেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ''৫০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে পার্থবাবুর নামে। খুব অন্যায় করেছে। শাস্তি পেলে আমাদের কিছু দুঃখ নেই। পার্থকে একদিন হাতে করে রাজনীতিতে আমিই এনেছিলাম। তার জন্য আমার দুঃখ আছে, বেদনা আছে।''
আরও পড়ুন- আজ ‘ছাড়’ তৃণমূলকে, ফুটবল জ্বরে কাঁপছেন দিলীপও, আর্জেন্তিনা না ফ্রান্স? কাকে সমর্থন?
এদিকে, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের দুর্নীতি ইস্যুতে এই মন্তব্যের জোর চর্চা ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সিপিএম নেতা তথা সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এদিন বলেন, ''প্রকৃতপক্ষে শোভনদেববাবু দুর্নীতির পক্ষেই সওয়াল করলেন। এটাই দুঃখের। তিনি নিজেকে সৎ প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাঁর বক্তব্য জোরালোভাবে দুর্নীতির পক্ষে। তাঁর নেত্রীকে তিনি ছেড়ে আসতে পারছেন না। যে নেত্রী এই দুর্নীতির উৎস-মুখ। এই সব বলে বাঁচতে পারবেনা না। ওই দলের সবাই চোর।''
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ''তৃণমূলের গোটাটাই দুর্নীতিতে ক্ষয় হয়ে গিয়েছে। যে পার্টিতে এত দুর্নীতি, সেই পার্টির লোক কী করে অন্য পার্টির দুর্নীতি খুঁজবে? গোটাটাই যাদের দুর্নীতি তাঁদের এত বড় বড় কথা বলার যৌক্তিকতা নেই।''