আজ দশমী। চারদিনের জমজমাটি জগদ্ধাত্রী পুজোর বিদায়বেলায় মন খারাপ চন্দননগরের। তবে শেষ মুহূর্তে আলোর চাদরে শহরকে মুড়ে ফেলতে এবং বিসর্জনের শোভাযাত্রায় তাক লাগাতে প্রস্তুত গঙ্গাতীরের এই শহর।
পুজোর শুরু থেকে চলে ভাসানের আলোক সজ্জার প্রস্তুতি। কোভিড কালের পরবর্তীতে চলতি বছর পুজো ঘিরে দর্শনার্থী থেকে পুজো উদ্যোক্তা সকলের মধ্যেই ছিল এক আলাদা উন্মাদনা। পঞ্চমীর বিকেল থেকেই মানুষের ঢল নামতে শুরু করে আলোর শহরে। দিন যত এগিয়েছে ভিড়ের মাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। গতকাল নবমীর সন্ধ্যায় থিক থিকে ভিড়ে পুজোর শেষ মুহূর্তের আনন্দকে চেটেপুটে উপভোগ করেছে উৎসব প্রেমী বাঙালি।
আজ জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসান ঘিরে দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে সারা রাত ধরেই চলবে লোকাল ট্রেন। পাশাপাশি ঢেলে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আলোর শহর চন্দননগরকে মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। বোম স্কোয়াড, পুলিশ কুকুর ও মহিলা উইনার্স টিম মোতায়েন থাকবে শহর জুড়ে। থাকছে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা। রেল পুলিশ সূত্রে খবর, চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর, মানকুন্ডু তিনটি স্টেশনকে সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে। সারারাত ধরে মানুষজন যাতে শোভাযাত্রা দারুণ ভাবে উপভোগ করতে পারেন তার জন্য প্রশাসনের তরফে কোন রকম ঘাটতি রাখা হচ্ছে না।
গত দু বছর করোনার দাপটে শোভাযাত্রা বন্ধ থাকায় উৎসবে মূল আকর্ষণে কিছুটা ঘাটটি পড়েছিল। আর সেই ঘাটতি পুরোপুরি মেটাতে তৈরি চন্দননগর। বাগ বাজার, হাটখোলা, পালপাড়া, চড়কতলা,জুড়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে সারি সারি লরি। তাতেই সাজিয়ে তোলা হয়েছে রকমারি আলোক সজ্জা।
কী নেই তাতে? ডিজনিল্যাণ্ড থেকে আইফেল টাওয়ার আলোর জাদুতে ম্যাজিক দেখাতে তৈরি এই শহর। সেন্ট্রাল জগদ্ধাত্রী পুজোর আওতায় থাকা ১৭৬ টি পুজোর মধ্যে ৬১ টি এবার যোগ দিচ্ছে শোভাযাত্রায়। তার মধ্যে ৫১ টি চন্দননগর পুর এলাকার। বাকী ভদ্রেশ্বরের। শহরের একাধিক পুজো কমিটির কর্তারা জানিয়েছেন, চন্দননগর এবার সর্বকালের সেরা শোভাযাত্রা দর্শনার্থীদের উপহার দেবে।