চতুর্থ দফার লকডাউনের মাঝে দীর্ঘ বিরতির পর জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে খুলল রেলের টিকিট কাউন্টার। করোনা আতঙ্কের মাঝে ১ জুন থেকে ১০০ জোড়া ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করে রেল। প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ থেকেই টিকিট পাওয়ার কথা জানান হলেও যাত্রী সুবিধার্থে টিকিট কাউন্টারও খোলার নির্দেশ দেয় রেলমন্ত্রক।
রেলের তরফে এই ঘোষণার পরই রবিবার সকাল থেকে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে খোলা হয় রেলের টিকিট কাউন্টার। রেলের টাইম টেবিল অনুযায়ী আগামী ১ জুন থেকে চালু হচ্ছে স্পেশাল ব্রহ্মপুত্র মেল এবং ২ জুলাই থেকে চালু হচ্ছে স্পেশাল পদাতিক এক্সপ্রেস। যদিও রবিবার কাউন্টার খুললেও তেমন একটা ভিড় দেখা যায়নি স্টেশন চত্বরে। জলপাইগুড়ি স্টেশনের এক আধিরকারিক জানান এদিন হাতে গোনা কয়েকজন এসে টিকিট সংক্রান্ত খোঁজ খবর নিলেও জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে টিকিট বুকিং কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি হয়েছে মাত্র ৩টি।
যদিও এর নেপথ্যে করোনা আতঙ্ককেই দেখছেন রেলকর্তারা। লকডাউনে এমনিতেই সামাজিক দূরত্ব বিধি মানার নিয়ম রয়েছে এবং যেহেতু আইআরসিটিসির অ্যাপ থেকেও টিকিট পাওয়া যাচ্ছে তাই কোনওরকম ঝক্কি নিতে রাজি নন যাত্রীরা এমনটাই মনে করছেন জলপাইগুড়ি স্টেশনে আধিকারিকদের একাংশ। রবিবার জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে কলকাতায় ফেরার টিকিট কাটেন জলপাইগুড়ির বাসিন্দা শাউলি ঘোষাল। মহানগরের একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত শাউলি জানান জলপাইগুড়ির বাড়িতে তাঁর অসুস্থ মাকে দেখতে এসে লকডাউনে আটকা পড়েন তিনি।
ছবি- সৌমিত্র সান্যাল
কিন্তু চতুর্থ দফার লকডাউনে কিছুটা ছাড় এবং রেলের এই স্পেশাল ট্রেন দেওয়ার দৌলতে মনে একরাশ শঙ্কা নিয়েই টিকিট কাটতে আসেন তিনি। যদিও ফাঁকা কাউন্টার দেখে একটু অবাকই হন শাউলি। এদিকে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনের রিজার্ভেশন সুপারভাইজার রন্ধির কুমার জানান কাউন্টার দীর্ঘদিন বন্ধই ছিল। আচমকাই আজ থেকে কাউন্টার খোলা হয়েছে। আজ তেমন ভাবে টিকিট বিক্রি না হলেও বেশ কিছু লোক ট্রেন সংক্রান্ত খোজ খবর নিয়েছেন। মানুষের মনে করোনা আতঙ্ক রয়েছে। তাই যারা বিভিন্ন যায়গায় আটকে আছেন বা খুব জরুরী কাজ তাঁরাই টিকিট নিচ্ছেন। তবে আগামীকাল থেকে স্বাভাবিক বিক্রি শুরু হবে বলে মনে করছেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন