এতদিন প্রাথমিক-উচ্চ প্রাথমিক, গ্রুপ-সি-ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ মিলেছিল। এবার সেই তালিকায় যোগ একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে নিয়োগে দুর্নীতি-কাণ্ডও। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে ওমআর কারচুপির কথা স্বীকার করে নিয়ে নামের তালিকা প্রকাশ করে দিল খোদ স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি।
কেউ সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন কেউবা ২-৩ নম্বর পেয়েও বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন। এবার বেলাগাম দুর্নীতি একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে নিয়োগেও। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে বেনজির এই 'ভুল' স্বীকার করে নিল এসএসসি। নম্বর কারচুপির তালিকা প্রকাশ করা হল। মোট ৯০৭ জনের তালিকা প্রকাশ এসএসসির। ১ থেকে ৫০ নম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে কারচুপি করে, এমনই দাবি। এই ৯০৭ জনের মধ্যে ৭০০-রও বেশি চাকরিপ্রার্থী নিয়োগপত্র পেয়েছেন।
আরও পড়ুন- দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে শরীর-মন! ভালো নেই ‘কালীঘাটের কাকু’, উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরাও
একদিকে, হকের চাকরি চেয়ে দিনের পর দিন কলকাতার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় রয়েছেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। অন্যদিকে, নম্বরে কারচুপি করে চাকরি জুটিয়ে দিনের পর দিন ফুলে ফেঁপে ঢোল হচ্ছেন 'জাল শিক্ষকরা। এদিন ধর্নায় বসা এক চাকরিপ্রার্থী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। তিনি এদিন বলেছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের বলেছিলেন চাকরি হবে। কেন রাখা হচ্ছে না সেই প্রতিশ্রুতি।'
আরও পড়ুন- কোনও মা একাজ করতে পারে! একরত্তি দুধের শিশুর সঙ্গে যা ঘটে গেল…
নম্বরে কারচুপির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যকে তুলোধনা বিরোধীদের। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'এই সরকারের আমলে প্রাথমিক থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পর্যন্ত দুর্নীতি ছাড়া চাকরি হয়নি। এই সরকারের আমলে সব স্তরে নিয়োগেই দুর্নীতি। স্বাস্থ্য, পুলিশ, খাদ্য, পরিবেশ সব দফতরেই তৃণমূলের দুর্নীতি প্রতিষ্ঠিত। কলেজ শিক্ষকরদেরও একই অভিযোগ রয়েছে। ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষাতেও দুর্নীতি। এই সরকার কোনও জযাগায় দুর্নীতি করতে বাদ দেয়নি।'