হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিলের পথে ২০১৬ সালের নবম-দশম শ্রেণির ৬১৮ জন শিক্ষকের চাকরি। ৯৫২ জনের মধ্যে ৬১৮ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এদের চাকরির নিয়োগপত্র বাতিল করবে। এই ৬১৮ জন 'অযোগ্য' বলে আদালতে স্বীকার করে নিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
২০১৬ সালের উত্তীর্ণদের ২০১৮ সালে মেধা তালিকা প্রকাশ করে চাকরির সুপারিশপত্র দেয় কমিশন। চাকরি পাওয়া এইসব শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই 'অযোগ্য' ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। গাজিয়াবাদ থেকে ৯৫২ জনের ওএমআর শিট উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেখানেই গড়মিল ধরা পড়ে যায়। ২০১৬ সালে এসএসসির নবম-দশম শ্রেণির ৮০৫ জন চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিটে প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে সার্ভারের ব্যাপক ফারাক দেখা যায়।
গত বৃহস্পতিবার এই গড়মিলের কথা হাইকোর্টে কবুল করেছিল এসএসসি। কমিশন মেনে নিয়েছে যে, এদের মধ্যে অনেকে সাদা খাতা জমা দিয়েছিলেন। অনেকে আবার ২ বা ৩ পেয়েছেন। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে ওই ৮০৫ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরই এসএসসির তরফে জানানো হয় 'অযোগ্য' ৮০০ জনের বেশি চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ বাতিল করা হবে। ঘোষণা করা হয়েছিল এই সপ্তাহ থেকে পর্যায়ক্রমে সুপারিশপত্র বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সোমবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাই করল এসএসসি।
হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল ৮০৫ জন শিক্ষক। কিন্তু সিঙ্গল বেঞ্চের রায়-ই বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই স্কুল সার্ভিস কমিশন ১,৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর সুপারিশ বাতিল করে দিয়েছিল।