ন্যায্য চাকরির দাবিতে মহানগরের রাজপথে ১৮২ দিনে পড়ল রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না-অবস্থান। শনিবার যা ছিল অভিনব। মেধাকে খাঁচাবন্দি করে রাখার অভিযোগ তুলে এবার খাঁচা তৈরি করে তার মধ্যে বসে প্রতিবাদে মুখর রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির সামনে প্রতীকী বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
Advertisment
গতকাল, শুক্রবার রাজপথে হামাগুড়ি দিয়ে নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবার ও চাকরির দাবিতে সোচ্চার হন এইসব আন্দোলনকারীদে একাংশ। রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ এর আগে পথ নাটিকার মাধ্যমে নিজেদের দাবিদাওয়া পেশ করেছেন রাজ্য সরকারি গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। ভেজেছেন চপ-ও।
প্রতীকী খাঁচার ভিতর বসে আন্দোলনকারীদের দাবি, খাঁচার চাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আছে। তালা খুলতে মুখ্যমন্ত্রীর এক মিনিটও লাগবে না। তা সত্ত্বেও তাদের আবেদনে কান দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের প্রশ্ন আর কতদিন মেধাকে এইভাবে বন্দি করে রাখা হবে? কবে এই তালা খুলবে? তাঁদের অভিযোগ এই সরকার অর্থের বিনিময়ে চাকরি দিয়েছে অথচ মেধাকে বন্দি করে রেখেছে।
গ্রুপ ডি-র চাকরির বিজ্ঞপ্তি বের হওয়ার পর চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন প্রায় ২৫ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী। তবে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষায় বসেন ১৯ লক্ষ চাকরি প্রার্থী। পরীক্ষা নেয় ওয়েস্ট বেঙ্গল গ্রুপ ডি রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। এর মধ্যে ১৮ হাজার প্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়। তাঁর মধ্যে ৫ হাজার ৪০০ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৬ সালে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বলেছিলেন ৫ বছরে ৬০ হাজার নিয়োগ করব। ৬০ হাজারের মধ্যে প্রথম ধাপে গ্রুপ ডি-র ৬ হাজারের বিজ্ঞপ্তি বের হয়। যে ৬ হাজারের মধ্যে ৫ হাজার ৪০০ জনের নিয়োগ হয়। বাকিদের ওয়েটিং লিস্টে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে বিশদে জানতে আরটিআই করা হলেও কোনও সদুত্তর বোর্ড গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে দেয়নি। দুর্নীতি ও প্রতারণার শিকার হয়েছে গ্রুপ-ডি র ওয়েটিং লিস্টের চাকরিপ্রার্থীরা।