এসএসসি ও প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের সিবিআই তদন্তের মাঝেই এবার তৃণমূল বিধায়ক তথা জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, লক্ষ লক্ষ টাকা শুধু প্রতারণাই করেননি ওই তৃণমূল নেতা একইসঙ্গে ভুয়ো নিয়োগপত্রও দিয়েছেন। অভিযোগকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
মালদার মালতিপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির বিরুদ্ধে আইসিডিএসে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে মালদার জেলা শাসকের কাছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রহিম বক্সি। অভিযোগকারীদের তিনি চেনেন না বলে দাবি করেছেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মালদার জেলাশাসক নীতিন সিংঘানিয়া।
জানা গিয়েছে, ১৪জুন মালদার জেলাশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন ৫ জন মহিলা। অভিযোগপত্রে তাঁরা জানান, মালতিপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি তাঁদের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছিলেন। এমনকি তাঁদেরকে আইসিডিএসের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু দফতরে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন সেই নিয়োগপত্রটি ভুয়ো। এরপর বারংবার টাকা ফেরত চেয়েও তাঁরা সেই টাকা পাননি। জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। অভিযোগকারী ফারিনা খাতুনের দাবি, 'লতিফুন বিবি নামে এক পঞ্চায়েত সদস্যের মাধ্যমে রহিম বক্সির সঙ্গে যোগাযোগ হয়। আড়াই বছর আগে আইসিডিএসের চাকরির জন্য আড়াই লক্ষ টাকা দিয়েছি। কিন্তু সেই চাকরি হয়নি। বারবার টাকা চাওয়া হলেও ফেরত মেলেনি। তাই বাধ্য হয়ে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করেছি।'
আরও পড়ুন- উনিশে ১৮-চব্বিশে ৩৬, কোন সমীকরণে বাংলায় দ্বিগুন আসনের স্বপ্ন শুভেন্দুর
লতিফুন বিবি জানান, রাজনীতি করার সুবাদে রহিম বক্সির সঙ্গে পরিচয় আছে তাঁর। ৫জন মহিলার কাছ থেকে সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা তুলে তিনি রহিম বক্সির হাতে দেন। তাঁদের একটি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে জানতে পারেন যে সেই নিয়োগপত্র ভুয়ো। এরপর বারবার রহিম বক্সির কাছে টাকা ফেরত চাইলেও টাকা পাননি।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মালতিপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি। তাঁর দাবি, 'ভিত্তিহীন অভিযোগ। যাঁরা অভিযোগ করেছে তাঁদের কাউকে তিনি চেনেন না।' তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এবিষয়ে দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, 'আগে বামফ্রন্টের মন্ত্রীদের নামে টাকা তুলতেন এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে টাকা তুলছেন। তফাৎ কিছু হয়নি আগেও টাকা তুলতেন এখনো টাকা তুলছেন।'