কলকাতা হাইকোর্টের চরম তিরস্কৃত স্কুল সার্ভিস কমিশন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাফ কথা, 'এসএসসি-র ওপর আমার কোনও বিশ্বাসই নেই।’
এই প্রথম নয়, এর আগেও এসএসসি কমিশন হাইকোর্টের ভর্তসনার মুখে পড়েছিল। জুলাইয়ের প্রথমেই উচ্চ প্রাথমিকে বেনিয়মের মামলায় সরাসরি এসএসসি-র চেয়ারম্যানকে তলব করেছিল হাইকোর্ট। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল আগেই। সেবারও চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এসএসসি-র নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সম্প্রতি হাইকোর্টে মামলা করেন গোপাল মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, ২০১৬ সালে তিনি স্কুল সার্ভিস পরীক্ষায় বসেছিলেন। ২০১৯ সালে ফল প্রকাশের পর তিনি জানতে পারেন যে চাকরি পাননি। সন্দেহ হওয়ায় আরটিআই করেন গোপালবাবু। সেখানেই দেখা যায়, ৬০ শতাংশ নম্বর মেধাতালিকায় তাঁর নাম রয়েছে ২১৪ নম্বরে। কিন্তু তিনি চাকরি পাননি, বদলে চাকরি হয়েছে নীলমনি বর্মন নামে এক ব্যক্তি। এই নীলমনি বর্ম ৫৮ শতাংশের কিছু বেশি নম্বর পেয়েছিলেন। অর্থাৎ বেশি নম্বর পেয়েও চাকরি পাননি গোপাল মণ্ডল।
আরও পড়ুন- শুভেন্দুর রক্ষাকবচের বিরোধিতা, হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ রাজ্যের
এরপরই এসএলএসটি গণিতে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন গোপাল মণ্ডল। মঙ্লবার এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। মামলার সওয়াল জবাব চলাকালীনই ভুল স্বীকার করে নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। জমা করা হয় রিপোর্টও। যা এদিন দেখেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, “স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওপর আমার কোনও ভরসা নেই।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন