নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আদালতে একের পর এক বোমা ফাটালেন ইডি-র আইনজীবী। সোমবার তিনি আদালতে জানান, শান্তনুর ফোন সোনার খনি। সেই ফোন ঘেঁটে এমন এমন তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা যাতে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নয়া মোড় নিয়েছে। কেলেঙ্কারির অঙ্ক এখনই ৩৫০ কোটি টাকায় পৌঁছে গেছে।
সোমবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয় শান্তনুকে। তাঁকে ১১ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করে ইডি। তখন ইডি-র আইনজীবী আদালতে জানান, শান্তনুর দুটি আইফোন বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেগুলি ঘেঁটে বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য পাওয়া গেছে। যা চমকে দেওয়ার মতো।
কী আছে শান্তনুর ফোনে?
ইডি-র আইনজীবী জানান, ২০১২ সালে টেট পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ডের ছবি পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি শান্তনুর ফোনে কী ভাবে এল তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, শান্তনুর বাড়ি থেকে ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা পাওয়া গিয়েছে। ইডি আদালতে দাবি করেছে, সেই তালিকার অনেকেই চাকরি পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন এসএসসি দুর্নীতি: আসল মাস্টারমাইন্ড কে? চাঁচাছোলা শান্তনু
ইডি-র আইনজীবী আরও জানান, শান্তনুর বহু সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এত টাকার উৎস কী তা তদন্ত করতে হবে। শান্তনুর স্ত্রীর নামেও প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। তাই তাঁকেও তদন্তের আওতায় আনার আর্জি জানিয়েছে ইডি। ইডি-র দাবি, এই দুর্নীতি এভারেস্টের সমান। ইডি-র আইনজীবী বিচারককে বলেন, শান্তনুর ফোনে এমন অনেক নাম পাওয়া গিয়েছে যা আদালতে বলা যাবে না। তাই কেস ডায়েরি জমা দেওয়া হল।