দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে স্বস্তি। অযোগ্যদের সরিয়ে এবার যোগ্যদের চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। শুক্রবার ৬৫ জনকে কাউন্সিলিংয়ের জন্য ডাকা হয়েছে। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য এই ৬৫ জনকে কাউন্সিলিংয়ের জন্য ডাকা হয়। সকাল ১০ থেকে শুরু হওয়া কাউন্সিলিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যোগ্য ৬৫ জন চাকরি প্রার্থী পছন্দের স্কুল বেছে নিতে পারবেন।
Advertisment
স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেছেন, 'এসএসসির তরফ থেকে মহামান্য আদালতের কাছে একটি হলফনামা পেশ করা হয়েছিল সেপ্টেম্বর মাসে। তাতে দেখা গিয়েছিল ডেটাবেস অনুসারে ১৮৩ জন ব়্যাঙ্ক জাম্পিং করে সুপারিশ পত্র পেয়েছে। পরবর্তীকালে ডিআইদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে জানা যায় ১০২ জন কাজে যোগ দেননি। মহামান্য আদালত নির্দেশ দেন ওই ১০২টি পদে যাঁরা যোগ দেননি মেধা তালিকায় তাঁদের পূর্ববর্তীরা সুযোগ পাননি বলে এরা ব়্যাঙ্ক জাম্পিং করে সুযোগ পেয়েছিলেন। পূর্ববর্তী যাঁরা আছেন মেধা তালিকা মেনে তাঁদের যেন নিয়োগ করা হয়। সেটা করতে গিয়ে দেখা গেল যে ১০২ জনকে আমরা পেলাম না। কারণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেধা তালিকা শেষ হয়ে গিয়েছিল। ফলে এখন আর কাউকে নিয়োগ করবার মতো নেই। আমরা ৬৮ জনকে পেয়েছিলাম তার মধ্যে তিনজনের ক্ষেত্রে একটু সমস্যা ছিল। সেটাও গতকাল আমরা এজলাসে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছি। ফলে ৬৫ জনকে আজকে (শুক্রবার) সুপারিশ পত্র দেওয়ার জন্য ডেকেছি।'
ন্যায্য চাকরির দাবিতে মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন ৬৬৩ দিন অতিক্রান্ত। এ দিন কাউন্সিলিংয়ে ডাক পাওয়া ৬৫ জনের বেশ কয়েকজন মেয়ো রোডের আন্দোলনে সামিল বলে খবর।
গত ১লা ডিসেম্বর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে, এসএসসি সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইটে ১৮৩ জন অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছিল। অযোগ্য ১৮৩ জন শিক্ষক কাদের সুপারিশপত্রের ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের নাম, রোল নম্বর, আবেদনপত্রের নম্বর থেকে কোন বিষয়ে শিক্ষকতার জন্য আবেদন করেছিলেন সেসবও ওয়েবসাইটে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, এসএসসির ওয়েটিংলিস্টে থাকা যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা তিন হাজারেরও বেশি।