শারীর শিক্ষা ও কর্মশিক্ষা পদে অপেক্ষারত চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করল এসএসসি। আজ সকাল ১০টা থেকে চলছে কাউন্সেলিং। শারীর ও কর্মশিক্ষায় ১ হাজার ৬০০ শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে ঘোষণা করেছে এসএসসি। অপেক্ষারতদের সংখ্যা ১ হাজার ৪০৩ জন। অর্থাৎ, অপেক্ষারতদের সকলেরই চাকরির সম্ভাবনা রয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে প্রার্থীদের নিয়োগের সুপারিশপত্র দেওয়া হবে। তখনই স্কুল নির্বাচনের সুযোগ পাবেন চাকরিপ্রার্থীরা।
শারীরশিক্ষায় শূন্যপদ রয়েছে ৭৫০টি এবং কর্মশিক্ষার শূন্যপদের সংখ্যা ৮৫০টি। দার্জিলিং জেলা ব্যতীত রাজ্যের ২২ জেলায় সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ১ হাজার ৪০৯টি স্কুলে এঁদের নিয়োগ করা হবে।
এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেছেন, 'জেলাভিত্তিকভাবে শূন্যপদ দেখেই নিয়োগ হবে। পুরুষ মহিলা প্রার্থীদের আলাদা আলাদা কাউন্সেলিং হচ্ছে। পৃথক সুপারিশের আয়োজনও হবে। কর্মশিক্ষার প্রার্থীদের মধ্যে ১০ নভেম্বর ২৭৮ জন পুরুষ প্রার্থী এবং ১১ নভেম্বর ৩০৩ জন মহিলা প্রার্থীকে ডাকা হয়েছে। শারীরশিক্ষার পুরুষ প্রার্থীদের দু'দিন ধরে হবে কাউন্সেলিং। ১২ নভেম্বর ২৮৩ জন এবং ১৪ নভেম্বর ২৭২ জন পুরুষ প্রার্থীকে ডাকা হয়েছে। ১৬ তারিখ ২৬৮ জন মহিলা প্রার্থীকে কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়েছে।
অপেক্ষারত প্রায় ১ হাজার ৪০০ প্রার্থী ২০১৬ সালে প্রথম পরীক্ষায় বসেছিলেন। কিন্তু নিয়োগ হয়নি। নিয়োগের দাবিতে গত প্রায় ৬ বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন এসএসসির শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা চাকরি প্রার্থীরা। এরপর শারীর শিক্ষা ও কর্মশিক্ষা পদে নিয়োগের জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল। মূলত শরীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার অপেক্ষারত প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য এই পদ তৈরি করা হয়। পুজোর আগেই বিজ্ঞাপন দিয়ে এই পদগুলিতে নিয়োগের কথা জানিয়েছিল এসএসসি।