চাকরির দাবিতে এ যেন মরণপণ লড়াই। এসএসসি-র কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার প্রার্থীরা নিয়োগের দাবিতে একটানা ৬১ দিন ধরে ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের অনশন পড়ল ২৬ দিনে। স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র মাধ্যমে ১৬০০ শূন্যপদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর এক মাস কেটে গেলেও আন্দোলনরতদের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা হয়নি। তারই প্রতিবাদে সরব চাকরিপ্রার্থীরা।
Advertisment
চাকরির দাবিতে একটানা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন এসএসসি-র কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার প্রার্থীরা। কলকাতার মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে তাঁদের অনশন কর্মসূচি মঙ্গলবার ২৬ দিনে পা দিল। মাসখানেক আগেই রাজ্য সরকার এসএসসি-র মাধ্যমে ১৬০০ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্তের কথা জানায়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সেই সময়ে জানিয়েছিলেন, শারীরশিক্ষার জন্য ৮৫০ এবং কর্মশিক্ষার জন্যে ৭৫০ টি নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে। এই পদগুলিতে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলেও ঘোষণা করেছিলেন ব্রাত্য বসু।
যদিও তারপর থেকে এক মাস কেটে গেলেও কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার এই চাকরি প্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়ের ব্যাপারে কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। তারই প্রতিবাদে এবার সোচ্চার চাকরিপ্রার্থীরা। একটানা ধর্নায় বসা চাকরিপ্রার্থীরা এবার তাঁদের নিয়োগের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। কেউ কেউ আবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই উগড়ে দিলেন ক্ষোভ।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চাকরিপ্রার্থীরা কলকাতায় এসে ধর্নায় সামিল হয়েছেন। নদিয়ার মামন বিশ্বাস তাঁদেরই একজন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে তিনি বলেন, ''আমাদের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগী হোন। এক মাস হয়ে গেলেও কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা হয়নি। আমরা যোগ্য হয়েও পথে পড়ে রয়েছি।''
জঙ্গলমহলের বাঁকুড়া জেলা থেকে এসে ধর্না মঞ্চে সামিল তপন কুমার মণ্ডল। তাঁর কথায়, ''১৬০০ সিটের জন্য ধোঁয়াশা নোটিশ। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। আমরা দ্রুত নিয়োগ চাই।'' আরও এক চাকরিপ্রার্থী সাফিয়া খাতুন বলেন, ''২০১৯ থেকে আন্দোলন চলছে। আমরা এখনও পর্যন্ত নিয়োগ পেলাম না। মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন প্যানেলভুক্তরা বঞ্চিত হবেন না। মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েও কথা রাখছেন না। ১৬০০ সিটে নিয়োগের ঘোষণা হলেও নোটিশ দেওয়া হয়নি।'