সাঁতরাগাছি স্টেশনে ফুটব্রিজে পদপিষ্ট হয়ে জখম হলেন কমপক্ষে ১৪ জন। এর মধ্যে ২ জন শিশুও রয়েছে। জানা যাচ্ছে, দুই ও তিন নম্বর প্লাটফর্মের সংযোগকারী ফুটব্রিজে ওঠানামার সময় যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এই সময় বেশ কয়েকজন যাত্রী ফুটব্রিজে পড়ে যান। তখনই ১৪ জন পদপিষ্ট হয়ে যান। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যে সব আহতদের পরিচয় জানা গিয়েছে, তাঁরা হলেন: গৌরী হেমব্রম, অর্না শা, আক্ষা শা, শেখ রাহুল আমিন, অমরেন্দ্র নাথ দত্ত, অনীশ সোম, শেখ আকরামুল হক, গৌরনিতাই সাহা, শিল্প ওরাওঁ, হনুমন্ত শাহ, কিরণ শাহ, আশিস সাঁতরা।
সূত্রের খবর, সাড়ে সাতটা নাগাদ একসঙ্গে দুটি ট্রেন ঘোষণা হওয়ার ফলেই এই বিপত্তি ঘটে। একটি প্ল্যাটফর্মে এক্সপ্রেস ট্রেন এবং অন্য প্লাটফর্মে একটি লোকাল ট্রেনের ঘোষণা হয়। এরপরই হঠাৎ ছোটাছুটি করতে শুরু করেন যাত্রীরা। ফুটব্রিজ প্রশস্ত না হওয়াতেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা । দক্ষিণ পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ জানালেন, "এই ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে।" সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি রেড রোডের পুজো কার্নিভাল থেকে রওনা দেন ঘটনাস্থলে।
সাঁতরাগাছিতে ফুটব্রিজ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আহতদের দেখতে হাসপাতালে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় pic.twitter.com/atlW7EZKcF
— IE Bangla (@ieBangla) October 23, 2018
ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "একসঙ্গে তিনটি ট্রেন এসে গিয়েছিল, প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তনের ঘোষণায় তাড়াহুড়ো পড়ে যায়।" ঘটনায় রেলের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, "আমার মনে হচ্ছে, রেলের কো-অর্ডিনেশনের অভাব রয়েছে।" পাশাপাশি তিনি আরও বলেন তিনিও একসময় রেলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তবু এই ঘটনায় রেলকেই দোষারোপ করছেন তিনি।
Another unfortunate incident on railways today. Sadly, too many such tragedies are happening like this even during festive season, including Amritsar. Railways are the lifeline of our nation. Safety of rail passengers must be taken care of at all times
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 23, 2018
মৃতদের নিকটাত্মীয়দের পাঁচ লক্ষ টাকা এবং আহতদের এক লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ ছাড়া রেলের তরফ থেকে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারবর্গকে ৫ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের এক লক্ষ টাকা এবং অন্য আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যুর কথা জানালেও, রেলের তরফ থেকে মৃতদের পরিচয় জানানো হয়নি।
রেলের তরফ থেকে এ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়ে জানানো হয়েছে যে, আহতদের চিকিৎসার সমস্ত খরচ বহন করবে তারা।
হেল্পলাইন চালু করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। খড়গপুরে ফোন করুন ০৩৩-২২২১০৭২ এই নম্বরে। সাঁতরাগাছিতে ফোন করুন- ২৬২৯ ৫৫৬১ নম্বরে। হাওড়া হেল্পলাইন নম্বর ০৩৩ ২৬৪১ ২৯৭৫। শালিমার জংশনের হেল্পলাইন নম্বর ০৩৩ ২৬২৯ ৫৮৬২