Howrah Civic Polls: অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি হাওড়া পুরসভা নিলে সই করেননি। অর্থাৎ হাওড়া পুরনিগম থেকে পৃথক হয়নি বালি। ফলে সম্প্রতি ৪ পুরনিগমের নির্বাচন ঘোষণার দিনে তালিকায় ছিল না হাওড়ার নাম। এবার হাইকোর্টে হাওড়া বিল নিয়ে ভুল স্বীকার করলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। গত সপ্তাহেই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চকে রাজ্য জানিয়েছিল হাওড়া বিলে সই করেছেন রাজ্যপাল। তারপরেই ট্যুইট করে রাজ্যপাল জানান, তিনি সেই বিলে সই করেননি।
এবার তাই হাইকোর্টের কাছে ভুল স্বীকার করে নিল রাজ্য সরকার। যদিও এই বিল সই জল্পনায় পুরভোট আবহে ঝুলে থাকল হাওড়া পুরনিগমের ভাগ্য।
এদিন এজি হাইকোর্টকে বলেছেন, ‘একটা লিখিত বয়ান দেখে ভেবেছিলাম সব সমস্যা মিটে গিয়েছে। তাই ভেবেছিলাম সমস্যা মিটে গিয়েছে। হয়তো রাজ্যপাল সই করে দিয়েছেন।‘ এদিকে, চলতি সপ্তাহেই রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন ”আমার অবস্থান স্পষ্ট। আমি কোনও বিলে সই করিনি। হাওড়া ও বালির বিভাজনের কোনও কাগজ আজ পর্যন্ত আমার কাছে আসেনি।” এই মন্তব্য করে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়ান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বিলের ফাইল পেয়ে রাজ্যকে কিছু প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। প্রায় এক মাস কাটতে চললেও নবান্নের তরফে তাঁকে কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি বলেই দাবি ধনকড়ের।
হাওড়া ও বালি পৃথকীকরণ বিল নিয়ে জট জারি। যদিও কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় হাওড়া পুরনিগম সংশোধনী বিলে সই করেছেন। তবে এজি-র সেই দাবি প্রথমেই উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। টুইটে তিনি জানিয়েছিলেন, হাওড়া পুরনিগম (সংশোধনী) বিল, ২০২১-এ রাজ্যপালের সই সংক্রান্ত রাজ্যের দাবি সঠিক নয়। বিলটি তাঁর বিবেচনাধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান।
এরপরেই শোরগোল পড়ে যায়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বাম ও কংগ্রেসের নেতারাও একটি বিলে সই ইস্যুতে রাজ্য ও রাজ্যপালের এমন পরষ্পর-বিরোধী বক্তব্য নিয়ে সোচ্চার হন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন